• সমগ্র বাংলা

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ভূরুঙ্গামারী ওসি’র প্রেস ব্রিফিং ‎

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জকে জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রাচরিত বিভিন্ন অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ সম্পর্কে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রেসব্রিফিং করেছেন ওসি আল হেলাল মাহমুদ।

‎বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে ভূরুঙ্গামারী থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওসি জানান, ভূরুঙ্গামারীর একাধিক চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহারনামীয় আসামি আনোয়ার হোসেন আরিফ (৩৪) কখনো রাজনৈতিক পরিচয় ও কখনো সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহার করে তার সহযোগীদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চাঁদাবাজি, সরকারি কাজে বাধা ও মাদক ব্যবসা, অপহরণ, জুলাই গণঅভ্যুথ্যানে ছাত্রজনতার উপর হামলা এবং সর্বশেষ নাশকতার পরিকল্পনা সহ চারটি মামলা চলমান রয়েছে। এসকল মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করায় ওসি সহ ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তার সহযোগী একটি চক্র থানা পুলিশ ও ওসির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালে মিথ্য ভিত্তিহীন ও মানহানীকর সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। যা জনমনে পুলিশ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

‎প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, গত ১৪ নভেম্বর প্রতিদিনের কাগজ’র সাংবাদিক পরিচয়ে খায়রুল আলম রফিক ফোনে মামলার বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি তা অবহিত করেন। পরে ওই কলটি কৌশলে রেকর্ড করে বিভ্রান্তিকর শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হয়। এতে থানার কর্মকান্ড-কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

‎এদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও সচেতন নাগরিক সমাজ ওসির প্রতি আস্থা পুনর্ব্যক্ত করে বক্তব্য দিয়েছেন।

‎এবিষয়ে জানতে চাইলে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম জানান, কথিত সাংবাদিক আনোয়ার এক প্রতিবন্ধী তরুণকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করেছিল। সে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

‎উপজেলা জামায়াত ইসলামের আমীর আনোয়ার হোসেন জানান, আমার জানা মতে ওসি আল হেলাল মাহমুদ ভালো মানুষ। মামলা বাণিজ্যের সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

‎জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)'র উপজেলা আহ্বায়ক মাহফুজুল ইসলাম কিরণ বলেন, ওসি সাহেব জনবান্ধব মানুষ, তিনি পক্ষপাতিত্ব করেন না। আমরা তার কাজে সন্তুষ্ট।

‎ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ওসি সাহেব যথেষ্ঠ আন্তরিক মানুষ। কেউ তার কাছে আইনি সহায়তা চেয়ে পাননি এমনটি শুনিনি।

‎নাগরিক সমাজ বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  ওসি'র বিরুদ্ধে যে ধরনের অপপ্রচার চলছে তা উদ্বেগজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

‎ওসি আল হেলাল মাহমুদ অভিযোগ করেন, জেলহাজতে থাকা আনোয়ার ও তার পৃষ্ঠপোষকরা পুলিশি কার্যক্রমকে বিতর্কিত করার জন্য কয়েকজন বিতর্কিত সাংবাদিককে ব্যবহার করছেন। আনোয়ারের বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

‎তিনি বলেন, আমি থানায় যোগদানের পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখিয়ে আসছি। একটি মহল নিজেদের স্বার্থে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করার চেষ্টা করছে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo