
ছবিঃ সিএনআই
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় গত এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই খোলাবাজারে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ৫-৬টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছিলো। এতে করে নাভিশ্বাসে পড়ে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির ক্রেতা ও সাধারণ ভোক্তারা। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে জেলার অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন, জেলা খাদ্য বিভাগ ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর যৌথ অভিযান শুরু করে।
চলমান লাগাতার অভিযানের কারণে চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে খোলাবাজারে চালের দাম প্রকার ভেদে প্রতি কেজিতে ৩-৪টাকা করে কমতে শুরু করেছে। এতে করে খেটে খাওয়া শ্রেণির দিনমজুর মানুষদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবুও জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ মজুতদারদের মজুত না রেখে দ্রুতই বাজারে চালের সরবরাহ ও সকল পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচার কাজ চলমান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো: ওবাইদুল ইসলাম।
সোমবার বিকেলে জেলার রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার বিভিন্ন চাউল কল ও চাতালে অভিযান পরিচালনা করেছে। এসময় ত্রিমোহনী হাট এলাকায় ধানের চাতালের লাইসেন্স নবায়ন না করে অন্যকে ভাড়া প্রদান করায় এবং বরাদ্দের চেয়ে বেশি সময় ধরে ধান মজুত রাখার অপরাধে মেসার্স অনিক চাউলকে ৫হাজার টাকা এবং কুবরাতলী মোড়ের মেসার্স মোল্লা এন্ড সন্স রাইচ মিলকে অতিরিক্ত সময় ধরে বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত ধান মজুত রাখার অপরাধে ৫হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া চাতালগুলো অন্যকে ভাড়া দেওয়ায় প্রকৃত মালিকদের সতর্কতা প্রদান করা হয়।
উপজেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো: মকলেছুর রহমান বাবু জানান এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে চাতাল মালিকরা ধান থেকে চাল বের করতে পারেননি। তারপরও যারা সরকারের নিয়ম-নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধ ভাবে মজুতদেও মাধ্যমে ধান-চালের কারবার কওে আসছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে এই ধরণের অভিযানের কোন বিকল্প নেই। এছাড়া মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকেও সকলকে সচেতন করা হচ্ছে। আগামীতেও এই ধরণের কার্যক্রম নিয়মিত অব্যাহত রাখার পরামর্শ প্রদান করেন এই সভাপতি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাকিবুল হাসান জানান যারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ধানের চাতাল পরিচালনা করে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করা হয়েছে। যারা বিভিন্ন বাহানায় অবৈধ মজুত বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের বাজারকে অস্থির করার চেস্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান রাখা হবে। এমন অভিযানে অন্য যারা সতর্ক হবেন না পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে সেই সব ধানের চাতাল ও মিল জব্দ করা হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক যতদিন না খোলা বাজারে চালের দাম একটি সহনীয় পর্যায়ে না আসছে এবং চালের বাজারে স্থিতিশিল অবস্থা ফিরে না আসছে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক ম...
সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জায়গার বিরোধকে...
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে এক ভুয়া সেনাবাহিনীর মেজর প...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইয়াবা ট্যাব...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীর দূর্গম চরাঞ্চলে অপরাধ দমনে আকা...
মন্তব্য (০)