• লিড নিউজ
  • জাতীয়

পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা যেভাবে বিশ্ব গড়তে চাই সেভাবেই বিশ্ব গড়তে পারি। প্রত্যেকের নিজের মনের একটা স্বপ্ন থাকতে হবে, কি ধরনের বিশ্ব চাই, কি ধরনের সমাজ চাই, কি ধরনের সংসার চাই, কি ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাই এগুলো নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে। 

বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা গৎবাঁধা প্রতিযোগিতায় মগ্ন থাকি বলে নতুন কিছু চিন্তা করি না। আমরা যে ধরনের বিশ্ব গড়তে চাই সে বিশ্ব গড়ার ক্ষমতা আমাদের আছে, সব মানুষেরই আছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি এখানে এসেছিলাম শিক্ষক হয়ে। দেখলাম, ক্লাসরুমে যা পড়ানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার মিল নেই। ক্রমে ক্রমে আশপাশের গ্রামে যে মহিলারা রয়েছেন, তারাই আমার শিক্ষক হয়ে গেলেন। তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখলাম।

‘বহু বছর পর এই ক্যাম্পাসে ফিরে আসা আমার জন্য ভীষণ আনন্দের ব্যাপার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি এসেছিলাম ১৯৭২ সালে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা সবে শুরু। শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি, কী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে আমার ভেতর। এর মধ্যে ১৯৭৪ সালে বিরাট দুর্ভিক্ষ দেখা দিল। সবকিছু ওলটপালট করে দিল। মনের মধ্যে বহু জিজ্ঞাসার সৃষ্টি হলো। মনে মনে ভাবতাম, সারা বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর ক্ষমতা আমার নাই। কিন্তু দেশের একটি ক্ষুদ্র অংশের কয়েকটি পরিবারের দুর্ভিক্ষ যদি ঠেকাতে পারি, সেটি আমার বড় তৃপ্তির বিষয় হবে। সে কারণে নজর পড়ল পাশের গ্রাম জোবরার দিকে। জোবরায় তখন কেউ মারা যায়নি। কিন্তু অবস্থা খুব কাহিল। সেখানে বিশাল জমি আছে, কিন্তু বৃষ্টি না হলে চাষ হয় না। মনে প্রশ্ন জাগল, বিশ্ববিদ্যালয় তো জ্ঞানের ভাণ্ডার। এই জ্ঞান পাশের গ্রামে উপচে পড়ে না কেন? তখন থেকেই জোবরায় আমার কাজ শুরু।

ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ৫ টাকা ১০ টাকা যে মানুষের জীবনে এত রকমের আনন্দ আনতে পারে কখনো ভাবিনি। তারা কৃতজ্ঞতায় গদগদ। অনেক কাহিনী শুনলাম। তারা কেউ নিজেদের নাম বলতে পারে না।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ঋণ মানুষের মানবিক অধিকার। এ কথা বলার পর ওই সময় লোকজন হাসাহাসি করলো। তারা বললো, আপনি ঋণের কথাও বলেন অধিকারের কথাও বলেন এটা কোনো কথা। অর্থনীতিতে তো মানবিক অধিকার বলে কিছু নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে অর্থনীতি আমরা শেখাচ্ছি সেটা ব্যবসার অর্থনীতি, মানুষের অর্থনীতি নয়। যে কোনো অর্থনীতি শুরু করতে হয় মানুষকে দিয়ে, ব্যবসা দিয়ে নয়। আমরা এক ব্যবসাকেন্দ্রিক সভ্যতা গড়ে তুললাম। এ সভ্যতা আত্মঘাতী সভ্যতা।

আমার সমস্ত ভাবনার বীজ বপন হয়েছে এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কৃতজ্ঞ। কোনো দিন নোবেল পুরস্কার পাওয়া যাবে, এটা মনে আসেনি। তবে এর বড় অংশীদার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় নোবেলের দাবিদার। এখানেই এসব চিন্তার সূত্রপাত বলে মত দেন নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।

 

মন্তব্য (০)





image

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বদলে যেতে পারে মিয়া...

নিউজ ডেস্কঃ নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ য...

image

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলে সেভেন সিস্টার্সও লাভবান হবে: প...

নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হলে নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সও লাভবান হবে...

image

আ.লীগ সরকারের করা চুক্তিতেই শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা ...

নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে ...

image

চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হলে সেভেন সিস্টার্সও লাভবান হবে: প...

নিউজ ডেস্কঃ  চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হলে নেপাল, ভু...

image

আজ দুদক কার্যালয়ে আসেননি টিউলিপ

নিউজ ডেস্কঃ শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব কর...

  • company_logo