• লিড নিউজ
  • জাতীয়

‎শেষ বিদায়ের ক্ষণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে— ‘দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই’ ‎

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজাস্থলে এখন এক আবেগঘন পরিবেশ। মানিক মিয়া এভিনিউতে স্থাপিত বড় বড় এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠছে তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের পুরোনো ছবি। মাইকে বর্ণনা করা হচ্ছে তাঁর দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস এবং শোনানো হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে দেওয়া তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণগুলো। বিশেষ করে ২০১৫ সালে লন্ডনে দেওয়া সেই ঐতিহাসিক উক্তিটি বারবার বাজানো হচ্ছে—

‎‘দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। দেশই হলো আমার ঠিকানা। এই দেশ, এই দেশের মাটি ও মানুষই আমার সবকিছু।’

‎খালেদা জিয়ার এই উক্তির নেপথ্যে রয়েছে দেশের মাটির প্রতি তাঁর অটল টান। ২০০৭ সালের ‘মাইনাস-টু’ ফর্মুলার সময় যখন তাঁকে দেশ ছাড়ার প্রবল চাপ দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেছিলেন, “বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই। মরলে এ দেশের মাটিতেই মরবো।” জেল খাটলেও দেশ ছাড়েননি তিনি। আজ তাঁর প্রয়াণের দিনে সেই অনড় অবস্থানের কথাই বারবার উচ্চারিত হচ্ছে নেতাকর্মীদের মুখে।

‎বুধবার দুপুর ২টায় জানাজার সময় নির্ধারিত থাকলেও কাকডাকা ভোর থেকেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে বাগেরহাট থেকে এসেছেন আসলাম শরীফ। তিনি বলেন, ‘নেত্রীকে হয়তো আর দেখব না, তবে জানাজায় শরীক হয়ে শেষ বিদায়টুকু জানাতে চাই।’

‎জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়াকে দাফন করা হবে। এ সময় মরহুমার পরিবারের সদস্য, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি অতিথি ও বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। দাফন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন করতে জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ সীমিত রাখা হয়েছে।

‎গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনবারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য (০)





  • company_logo