• জাতীয়

নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজাস্থলের প্রবেশপথে স্ক্যানিং মেশিনে তল্লাশি

  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও এর আশপাশের এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই জানাজায় অংশ নিতে আসা সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজাস্থলের প্রতিটি প্রবেশপথে স্ক্যানিং মেশিনের মাধ্যমে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

‎সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল ১০টায় সাধারণ মানুষের জন্য জানাজার মাঠ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশের জন্য পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি বিপুল সেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেটাল ডিটেক্টর ও স্ক্যানিং মেশিনে তল্লাশির পরই নির্দিষ্ট স্থানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

‎বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে মানুষের ভিড় বাড়ছে। জানাজায় লাখো মানুষের উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করেছে ডিএমপি। জানাজাস্থলের চারপাশের উঁচু ভবনগুলোতেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

‎মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

‎আজ সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ ছেলে তারেক রহমানের গুলশানের বাসায় নেওয়া হয়েছে। নেত্রীর মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যানটি বাসভবনের ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সময় সেখানে উপস্থিত স্বজন ও নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।

‎মরদেহ বাসভবনে পৌঁছানোর পর সেখানে প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মীরা। দীর্ঘ রোগভোগের পর যে ফিরোজা থেকে তিনি বারবার হাসপাতালে গেছেন, আজ সেখানেই ফিরলেন প্রাণহীন নিথর দেহে। স্বজনদের আহাজারি আর নেতাকর্মীদের শোকাতুর উপস্থিতিতে পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে আছে।

‎সকালে বিএনপি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও পোস্ট করে ফিরোজায় মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যানটি নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ভিডিওর ক্যাপশনে বলা হয়, প্রথমে মরদেহ বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে নেওয়া হবে। পরে গুলশানস্থ বাসভবন থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নেওয়া হবে। পরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় নামাজে জানাজায় নেওয়া হবে। এরপর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে জিয়া উদ্যানে নেওয়া হবে।

‎গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখানে স্বজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর তাঁর জানাজা ও দাফন সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo