ছবিঃ সিএনআই
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : আধিপত্য বিস্তারের লড়াই পুরুষদের, কিন্তু তার চড়া মূল্য দিতে হলো এক নিরপরাধ গৃহবধূকে। ঝিনাইদহের দোগাছি গ্রামে শুক্রবার সকালে ঘটে গেছে এক লোমহর্ষক ঘটনা, যা আদিম বন্যতাকেও হার মানায়। ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্য দিবালোকে এক গৃহবধূকে শুধু মারধরই করেনি, তাকে বিবস্ত্র করে কেড়ে নিয়েছে নারীর সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গাটি।
হামলার শিকার হাসনা আরা এখন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। শরীরের আঘাতের চেয়েও মনের আঘাত তাকে বেশি রক্তাক্ত করছে। দোগাছি গ্রামের নজরুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিন্তু শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সেই বিরোধের জেরে যে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি।
সকালে হাসনা আরা ও তার আত্মীয় আখি খাতুন গ্রামের পথে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হাজামবাড়ি মসজিদ এলাকায় পৌঁছাতেই ওত পেতে থাকা সিরাজুল বিশ্বাসের সমর্থক লিটন, বাবুল, রশিদসহ ১০-১৫ জনের একটি দল হায়েনার মতো তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আখি খাতুন দৌড়ে পালাতে সক্ষম হলেও, আটকা পড়েন হাসনা আরা। হামলাকারীরা তাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে তাকে বিবস্ত্র করে ফেলা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় গলার চেইন, কানের দুল ও মোবাইল ফোন। একজন নারীর আর্তনাদে সেদিন বাতাস ভারী হয়ে উঠলেও থামেনি পাষণ্ডদের নির্যাতন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য শারমিন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এই ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার দাবি করেছেন। অভিযুক্ত পক্ষের সিরাজুল বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন—আইনের খাতায় নাম ওঠার আগেই কি মানবিকতা এভাবেই পথ হারাবে?
নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে প্রাথমিক ও জুনিয়র পর্যায়ে ...
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাপানি লাইফস্টাইল –অনুপ্রাণিত ত...
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে বিদ্যুতের সট সার্কিটে ...
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে “যুবকরাই বদলে দ...
বাকৃবি প্রতিনিধিঃ রোজেল, যা চুকোর বা টক গাছ নামে পরিচিত, দেশ...

মন্তব্য (০)