• সমগ্র বাংলা

অন্যের স্ত্রীর প্রতিই লিটনের নজর, এলাকায় চাঞ্চল্য

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

টঙ্গী,গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গীর গুটিয়া গ্রামের লিটন সরকারকে নিয়ে এলাকায় চলছে তীব্র সমালোচনা। প্রায় আড়াই দশক আগে নিজের প্রবাসী চাচাতো ভাই আলমগীর সরকারের স্ত্রীকে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান লিটন। পরে সামাজিক সালিশের মাধ্যমে প্রবাসীর স্ত্রীকে বিয়ে করতে বাধ্য হলেও আজও তার প্রকৃত স্বামী আলমগীর স্ত্রীকে তালাক দেননি। একইভাবে ওই স্ত্রীও প্রবাসী স্বামীকে তালাক দেননি। ফলে দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে তালাক ছাড়াই লিটনের সংসারে বসবাস করছেন আলমগীরের স্ত্রী।

প্রবাসী আলমগীর সরকার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে জানান, “লিটন জোর করেই এ ঘটনা ঘটায়, আমি বাধ্য হয়েছিলাম চুপ থাকতে। তবে আমার স্ত্রীর সঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়নি।”

বিয়ের পর লিটনের সংসারে একে একে তিন ছেলের জন্ম হয়। বড় ছেলেকে বিয়েও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায়ও লিটনের চরিত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়ায় লিটন বেপরোয়া জীবনযাপন করেন। প্রায় সময় বাংলো বাড়িতে সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে নেশার আসর বসান। ভাড়া করে নারী আনা, ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো তার নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশীরা এসব কার্যকলাপে বিরক্ত হলেও ঝামেলা এড়াতে মুখ খোলেন না কেউ।

সম্প্রতি লিটনের নজর পড়ে তারই প্রবাসী ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রীর দিকে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায়ই তিনি ওই নারীর সঙ্গে রাতযাপন করেন। এ ঘটনাটি হাতেনাতে ধরে ফেলেন লিটনের বড় ছেলে। সেই সময় বাড়িতে ভাঙচুর হয় এবং শোকেসের কাচ ভেঙে গুরুতর আহত হন লিটনের বড় ছেলে।

রাজনৈতিক পরিচয়ের দিক থেকেও বিতর্কে রয়েছেন লিটন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তবে চলতি বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে হঠাৎই বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে। নিয়মিত বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতেও দেখা যাচ্ছে তাকে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে লিটন সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তার বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে পুরো এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo