
স্পোর্টস ডেস্ক : বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট বাদ দিলে বাংলাদেশ শেষবার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলেছে ২০০৮ সালে। সেবার ডারউইনে খেলা তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজটি ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এরপর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) আর বাংলাদেশ দলকে সিরিজ খেলতে আমন্ত্রণ জানায়নি। ফলে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে ওই কন্ডিশন একপ্রকার অপরিচিতই থেকে গেছে।
দেশের ক্রিকেটের বর্তমান প্রজন্মকে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলার সুযোগ করে দিতে গত বছর থেকে ডারউইনে টি২০ টুর্নামেন্ট ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সিরিজ খেলেছে। ২০২৬ সালে জাতীয় দলের সফর সামনে রেখে দেশটিতে এবার খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এই সফরে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি উদীয়মান ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
নাঈম হাসান, মাহিদুল ইসলাম অংকন, মাহমুদুল হাসান জয়, নুরুল হাসান সোহানের সঙ্গে জাতীয় দলের নাঈম শেখও যেতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায়। শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে পর্যাপ্ত ম্যাচ খেলার সুযোগ না পাওয়া নাঈমকে আরও সুযোগ দিতে চান নির্বাচকরা। এ কারণে ‘এ’ দলে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাঁকে।
১৪ থেকে ২৪ আগস্ট ডারউইনে আট থেকে ৯টি দল নিয়ে টি২০ টুর্নামেন্টের খেলা হবে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দল, পাকিস্তান শাহীনস ও নেপাল ‘এ’ দল অংশ নিচ্ছে। ২৮ থেকে ৩১ আগস্ট অস্ট্রেলিয়া নদার্ন টেরিটরি ক্রিকেট দলের সঙ্গে একটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। গত বছর যেটি হয়েছিল পাকিস্তান শাহীনসের সঙ্গে। ১৫ জনের টি২০ দলে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ক্রিকেটারদের নেওয়া হতে পারে।
আফিফ হোসেন, সাইফ হাসান, রিপন মণ্ডল, মাহমুদুল হাসান জয়ের মতো ক্রিকেটারকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে পাইপলাইন শক্তিশালী করতে। কারণ, এই ক্রিকেটাররা কিছুদিন আগেও জাতীয় দলে ছিলেন। তাদের পেছনে অনেক বিনিয়োগ আছে বিসিবির। এছাড়া জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পুল বড় করতে সোহানকে নেওয়া।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলেও নির্বাচকদের হৃদয় জিততে পারেননি তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরে ১৬ জনের স্কোয়াডে পাঁচজন পেসার নিলেও মিডলঅর্ডার বিকল্প ব্যাটার ছিলেন না একজনও। যেখানে সোহানকে নেওয়ার সুযোগ ছিল বলে মনে করা হয়। সেটি না করে নির্বাচকরা গ্লোবাল টি২০ টুর্নামেন্টে খেলার জন্য রংপুর রাইডার্সের দল গঠন করে দেন তারা। সমালোচনার মুখে সোহানকে হয়তো ‘এ’ দলে টি২০ খেলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আজ চট্টগ্রাম ‘এ’ দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি।
বিসিবি পাইপলাইনে থাকা মুশফিক হাসান, মৃতুঞ্জয় চৌধুরী, ইফতেখার ইফতি, মাহফিজুর রাব্বি, জিসান আলম, আকবর আলি, রাকিবুল হাসান, তোফায়েল আহমেদকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এই ক্রিকেটারদের নিয়ে চট্টগ্রামে ‘এ’ দলের ক্যাম্প করছেন কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। মিরপুরে সোহেল ইসলামের সঙ্গে লাল বলে অনুশীলন করছেন নাঈম হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, অমিত হাসান ও পেসার মোহাম্মদ এনামুল।
এই চার ক্রিকেটার চার দিনের ম্যাচে খেলবেন। সেক্ষেত্রে ১৯ থেকে ২০ জনের একটি দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়া খেলতে যাবেন বাবুল। তবে জয়ের জন্য টি২০ দলের দরজাও খোলা। সাইফকেও পাইপলাইন ধরে রাখা হয়েছে। জাতীয় দলের জন্য বিবেচিত না হলেও ‘এ’ দলের ক্যাম্পে থাকছেন পেস বোলিং অলাউন্ডার আবু হায়দার রনি। গতবার অস্ট্রেলিয়া গেলেও এবার সম্ভাবনা নেই। জাতীয় দল নির্বাচকরা আজ চট্টগ্রাম যাচ্ছেন অনুশীলন ম্যাচ দেখতে। সেখান থেকে ‘এ’ দলের স্কোয়াড নির্বাচন করা হবে।
মন্তব্য (০)