• খেলাধুলা

এএফসি নারী এশিয়ান কাপ-২০২৬ ড্র মঙ্গলবার, সিডনিতে ঠিক হবে বাংলাদেশের ভাগ্য

  • খেলাধুলা

ছবিঃ সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা ১২ দেশ এখন প্রতিপক্ষের অপেক্ষায়। আগামী ১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া নারীদের এই টুর্নামেন্ট কেবল এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনেরই নয়, বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক গেমসেরও বাছাই। যে কারণে বাড়তি গুরুত্ব আছে মেয়েদের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের। এমন একটি আসরে আছে বাংলাদেশও। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ খেলবে এশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদার ও বড় এই ফুটবল আসরে।

এশিয়ান কাপে কাগজ-কলমের শক্তিতে বাংলাদেশ সবার নিচে। অভিষেক আসরে বাংলাদেশ থাকছে আন্ডারডগই। এখন দেখার অপেক্ষা গ্রুপ পর্বে কোন তিন প্রতিপক্ষ পান আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। সেই অপেক্ষার পালা শেষ হবে মঙ্গলবার। আয়োজক তিন শহরের অন্যতম সিডনিতে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় হবে চূড়ান্ত পর্বের ড্র।

চূড়ান্ত পর্বে ওঠা ১২ দলকে গত ১২ জুন ঘোষিত সর্বশেষ ফিফা র্যার্কিং অনুসারে রাখা হয়েছে ৪টি পটে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ আছে শেষ অর্থাৎ ৪ নম্বর পটে। সেখানে অন্য দুই দেশ ইরান ও ভারত। এর অর্থ গ্রুপে পর্বে ইরান ও ভারতের সাথে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের।

প্রতি পট থেকে দেশের নাম ও গ্রুপ লটারির মাধ্যমে তোলা হবে। তাহলে কোন কোন দেশ পড়তে পারে বাংলাদেশের গ্রুপে? ১ নম্বর পটে আছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উত্তর কোরিয়। এখান থেকে একটি দলকে পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের গ্রুপে পড়বে ২ নম্বর পটে থাকা চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনামের একটি এবং ৩ নম্বর পটে থাকা ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তানের একটি।

তিন নম্বর পট থেকে যে দলটি বাংলাদেশের গ্রুপে পড়বে, সেই দলের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে আফঈদাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচটি জেতার বিকল্প থাকবে না। তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের কাছাকাছি হচ্ছে ৩ নম্বরে পটের তিন দল।

ড্র মঙ্গলবার, সিডনিতে ঠিক হবে বাংলাদেশের ভাগ্য

অভাবনীয় নৈপুণ্য দেখাতে পারলেই পিটার বাটলারের শিষ্যরা এশিয়ার সেরা ১২ দলের মধ্য থেকে সেরা ৬ হয়ে ২০২৭ সালে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের টিকিট পেতে পারে। কাজটি কঠিন থেকে কঠিন হলেও কাগজ-কলমে সেই সম্ভাবনা থাকছেই।

প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সাথে তৃতীয় হওয়া সেরা দুই দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। সেমিফাইনালে ওঠা চার দল সরাসরি চলে যাবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালে হারা চার দলের মধ্যে হবে প্লে-অফ। প্লে-অফ খেলার মাধ্যমে যাবে দুই দল। প্লে-অফে পরাজিত দুই দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।

সেই প্লে-অফে এশিয়ার দল জিতলে ৮টি দলের সুযোগ হবে বিশ্বকাপ খেলার। অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারে, তাহলে তিন-তিনটি সুযোগ থাকবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার।

 

 

 

কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা ৮ দলের থাকবে অলিম্পিক গেমসে খেলার সুযোগ। এই ৮ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। চ্যাম্পিয়ন দুই দল লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের নারী ফুটবলের টিকিট পাবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo