গাইবান্ধায় মাশরুম চাষে সাড়া জাগাতে পারেনি কৃষি বিভাগ

ফাইল ছবি

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃগাইবান্ধায় মাশরুম চাষ সম্প্রসারনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র হ্রাসকরন প্রকল্পের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারনে উৎসাহী মাশরুম চাষীদের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারেনি কৃষি বিভাগ। কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরে ২০২৩-২০২৪ ও ২০২৪-২০৫ অর্থ বছরে প্রথম কিস্তির বরাদ্ধকৃত  গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে  ৭ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয় । তবে অর্থ বছরে প্রক্ল্প দুটি সম্পন্ন  করার সময় বেধে দেওয়া হলেও গাইবান্ধা সদরের চুনিয়া কান্দি মৌজায়  বাস্তবায়নাধীন  মাশরুম প্রদর্শনীটি চলতি জুন মাসেও সম্পন্ন হয়নি। অপরটি   গাইবান্ধার সদরের নারায়ণ পুর  মৌজায় একই চিত্র ।  প্রকল্প নির্বাচন ও মাশরুম চাষে উৎসাহী কৃষক নির্বাচন করেই মুখথুবড়ে পড়েছে।

জানা যায় উপজেলা কৃষি অফিসারের  অনুকুলে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে   স্পন ও মাশরুম প্রদর্শনীর জন্য সদরের চুনিয়া কান্দি মৌজায় ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা  বরাদ্ধ দেয়া হয়। কিন্তু  বরাদ্ধকৃত ঐ অর্থ যথাযথ ভাবে কাজ হয়নি। বরাদ্ধকৃত অর্থের সিংহভাগ প্রকল্প তদারককারী কর্মকর্তা  সংশ্লিস্ট লোকাকজন কৌশলে মজুদ করেছে। তবে মাশরুম প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় সরবরাহ যেমন ইনকুবেশনের জন্য এডজাষ্ট ফ্যান,কুলিং প্যাড ও কন্টেইনার, ২ টি পিভিসি দরজা,পানির পাম্প,ত্রিপল ছোট পানির পাম্প, পানি স্প্রেইং সিষ্টেম, সরবরাহ করা হয়নি সে সবের মূল্য  প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা ।পাশাপাশি প্রতিটি প্রদর্শনী প্রকল্পে ইনকুবেশন কক্ষ,চাষঘর,স্টেবিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন ছাড়াও মালামাল রক্ষনের জন্য র‌্যাক, ও পরিবহনের জন্য ব্যাটারী চালিত ভ্যানের বিপরীতে অর্থবরাদ্ধ দেওয়া হয়। 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার চুনিয়াকান্তি মৌজায় স্পন ও মাশরুম চাষ প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায়, উৎপাদক ও উদ্যেক্তা মোছাঃ সাহিদা বেগমের প্রদর্শনী প্রকল্পটি উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষিকর্মকর্তার কর্মসূচি বাস্তবায়নে গাফিলতির  ফলে প্রকল্পের সুফল  বিনষ্ট হয়েছে।এর কারন সম্পর্কে উদ্যোক্তা সাহিদা বেগম বলেন সঠিক সময়ে ইনকুবেশন কক্ষ নির্মান,চাষঘর তৈরী,স্টেরিলাইজেশন কাম ইনকুলেশন চেম্বার স্থাপন না করায়  সঠিক সময়ে উৎপাদনে কাঙ্খিত লক্ষমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগে ঢাকায় প্রশিক্ষন গ্রহন করেছেন।কিন্তু উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার দায়সারা  কর্তব্য পালনের কারনে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে মাশরুম উৎপাদন করা তো দূরে কথা প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন করে দেয়নি।

অপর দিকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে  আর এক উদ্যেক্তা ও উৎপাদক মোস্তফা কামাল কে মাশরুম চাষের জন্য প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে তিনি জানান, ট্রেনিং নিয়ে মাশরুমে প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছি কিন্তু এটি থেকে সুফল পাচ্ছি না।কেননা শতভাগ কাজ সম্পন্ন করে দেয়নি কৃষি অফিস। 

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো খোরশেদ আলম বলেন, মাশরুম চাষের প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছি তবে কিছুদিনের মাঝে কাজ সম্পন্ন হবে।পাশাপাশি কাজ সম্পন্ন হলে মাশরুম উৎপাদন সম্ভব হবে।