• সমগ্র বাংলা

ঈশ্বরগঞ্জে স্বাস্থ্য সহকারীদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণভাবে এ কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্যরা। নারী ও পুরুষ স্বাস্থ্য সহকারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও সংগঠনের পতাকা হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীদের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবিগুলো বারবার উপেক্ষিত হয়ে আসছে। বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী দিনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি নূরুল হক (হলুদ) বলেন,

স্বাস্থ্য সহকারীরাই তৃণমূল পর্যায়ে শিশুদের মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে টিকাদান কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ টেকনিক্যাল দায়িত্ব পালন করে থাকেন। অথচ আজও আমরা টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ও ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই বৈষম্য আর মেনে নেওয়া যায় না।

উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আনিসুর রাজ্জাক ভূইঁয়া (খোকন) বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি এখন সময়ের দাবি। দেশের প্রায় ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী একই বৈষম্যের শিকার। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্বাস্থ্য সহকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন বলে আশা করেন।

এদিকে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতির কারণে কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, কর্মবিরতির ফলে টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যা শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কমিউনিটি পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে জনস্বাস্থ্যে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo