• তথ্য ও প্রযুক্তি

ফেসবুক নিষিদ্ধ বিশ্বের তিনটি দেশে

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • ২০ আগস্ট, ২০২০ ১১:২৯:৪১

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ঘুম থেকে আর ঘুমানোর আগে ফেসবুকে ঢুঁ মারা আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। ফেসবুক ছাড়া যেন আমরা এখন আর আমাদের জীবন কল্পনাই করতে পারি না।

আচ্ছা, কেমন হবে যদি ফেসবুক বন্ধ হয়ে যায়? এমনটা ভাবতেই মন খারাব হয়ে যাচ্ছে? সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ হলেই হয়তো আমাদের জীবনটা দূর্বিষহ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানেন ? বিশ্বে এমন তিনটি দেশ আছে যেখানে ফেসবুক চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ। আসুন জেনে নিই দেশ তিনটি সম্পর্কে।

উত্তর কোরিয়া

পুরো বিশ্ববাসীর কৌতূহলের শীর্ষে রয়েছে এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া। দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিম জং উনের কারণেই সবার এই কৌতূহল। কিম জং উন তার দেশে সব সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় আরোপ করেছেন নিষেধাজ্ঞা। ২০১৬ সালের এপ্রিলে দেশটি ফেসবুক বন্ধ করা শুরু করে। ধারণা করা হয়, অনলাইনে তথ্য বিস্তার এবং নিজেদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কিম জং উন এ উদ্যোগ নিয়েছেন।

উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা সীমিত হলেও দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের সুযোগ পান। এছাড়া পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কিছু শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা তাদের বিশেষায়িত ল্যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান।

চীন নিজ দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার সীমিত রেখেছে চীনা সরকারও। দেশটিতে ‘দ্য গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়না’ নামে ইন্টারনেটের ওপর সেন্সরশিপ এবং নজরদারি বজায় রাখা হয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে ‘উরুমকি দাঙ্গা’র পর চীনে প্রথম ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হয়। চীন সরকারের ধারণা, ফেসবুকের মাধ্যমেই দাঙ্গা ছড়ানোর জন্য মানুষ যোগাযোগ এবং পরিকল্পনা করতো।

ওই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটের ওপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করে চীনা সরকার। ২০১৩ সালে সীমিত আকারে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছিল। যদিও তা সাংহাইয়ের মুক্তবাণিজ্য এলাকার মাত্র ১৭ বর্গমাইলের মধ্যে।

বর্তমানে চীনে স্বাধীনভাবে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না। দেশটির জনগণের প্রতিটি কার্যক্রমের উপর সরকারের নজরদারি রয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে যায়, এমন সব ওয়েবসাইট চীনে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আর তার মধ্যে অন্যতম ফেসবুক।

তবে বিদেশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বন্ধ থাকলেও উইবো, রেনরেন, উইচ্যাটের মতো চীনের নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং অ্যাপগুলো দেশটিতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে ফেসবুক বা টুইটারের অভাব এখন আর তেমন বোধ করেন না চীনা নাগরিকরা।

ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বেশ পুরনো। দুই দেশের এই লড়াই কখনও কখনও পরিণত হয়েছে সাইবার যুদ্ধে। আর তাই মার্কিনিদের সোশ্যাল সাইট ফেসবুক নিষিদ্ধ ইরানে। তবে সাধারণ জনগণের জন্য ফেসবুক নিষিদ্ধ হলেও দেশটির রাজনৈতিক নেতারা ফেসবুক এবং টুইটার ব্যবহার করেন।

২০০৯ সালে ইরানে ফেসবুকসহ বেশ কিছু স্যোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। নির্বাচনের পর সরকার বিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হতে পারে এমন শঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার।

 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo