• তথ্য ও প্রযুক্তি

ফেসবুক চরম আকারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে!

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • ২০ আগস্ট, ২০২০ ১১:১৬:৩৩

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ বিশ্বে প্রায় সব দেশেই রয়েছে বিপুল সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারী। ফেসবুকে একটি ভুল তথ্য শেয়ারের ফলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে এর ব্যবহারকারীদের। আর গত এক বছরে এর ব্যবহারকারীরা প্রায় ৩৮০ কোটি বার ফেসবুকে ভুল তথ্য দেখেছে এবং এটি চরম আকার ধারণ করেছে কোভিড-১৯ মহামারির সবচেয়ে সংকটজনক সময়ে। আভায নামের একটি সংগঠন এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানিয়েছে।

আভাযের এ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ফেসবুক জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে চরম আকারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে এই সোশ্যাল মিডিয়াটি।

এ ব্যাপারে চিকিৎসকরাও সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তারা বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভ্যাকসিন সম্পর্কে যেসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে; তার ফলে যখন করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন সত্যিকার অর্থেই খুঁজে পাওয়া যাবে তখন হয়তো অনেক মানুষ এটি নিতে চাইবে না।

এদিকে আভাযের এ প্রতিবেদন সম্পর্কে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়নি।

এক বিবৃতিতে ফেসবুক তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানিয়েছে, অপপ্রচার রুখতে আভাযের এই লক্ষ্যের সঙ্গে আমরাও একমত। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আমরা কোভিড-১৯ এর ব্যাপারে ভুল তথ্য সম্বলিত ৯ কোটি ৮০ লাখ পোস্টের বিরুদ্ধে সতর্কবাণী দিয়েছি এবং ৭০ লাখ পোস্ট সরিয়ে নিয়েছি। বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের ‘ফ্যাক্ট চেকার্স’ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ কাজ করা হয়েছে।

ভুল তথ্য ঠেকাতে ফেসবুকের চেষ্টা থাকলেও আভায বলছে, তাদের সমীক্ষায় তারা ফেসবুকে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৬ শতাংশ ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, গবেষকরা ভুল স্বাস্থ্য বার্তা ছড়ানো শীর্ষ ১০টি সাইট চিহ্নিত করেছে। এসব সাইট থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য অনেক স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানের নামে চারগুণ বেশি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

আভায আরও জানিয়েছে, ভুল স্বাস্থ্যবার্তার উল্লেখযোগ্য অংশ বিভিন্ন পাবলিক পেইজ থেকে শেয়ার করা হয়। পেজগুলোর মধ্যে অন্তত ৪২টি পেজ পাওয়া গেছে যাদের ফেসবুকে ফলোয়ারের সংখ্যা ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি।

আভাযের ক্যাম্পেইন ডিরেক্টর ফাদি কুরান জনস্বাস্থ্যের জন্য ফেসবুককে মারাত্মক হুমকি উল্লেখ করে বলেছেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য ফেসবুকের অ্যালগরিদম মারাত্মক হুমকি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo