• তথ্য ও প্রযুক্তি

সফটওয়্যারের মাধ্যমে ধরা পড়বে ভুল

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • ০৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৫৫:০০

তথ্য ডেস্ক : ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে চিকিৎসাবিদ্যায় ‘পেশেন্ট জিরো’ নামে একটি প্রত্যয়ের উদ্ভব হয়েছিল। কানাডিয়ান নাগরিক গা টান ডুগাসকে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রথম এইডস আক্রান্ত রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল। এ কারণে তার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পেশেন্ট ও’, কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির জন্য তা ‘পেশেন্ট জিরো’ নামে পরিচিত হয়ে যায়। এমনকি তিনি উত্তর আমেরিকার প্রথম এইডস রোগী না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া তথ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে এ রকম ভুয়া তথ্য ছড়ানো ও প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ কারণে আমাদের সকলকেই সত্য-মিথ্যার তফাৎ বুঝতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এই হিমশিম খাওয়ার দিনকে ছুটি দিতে চলে এসেছে সফটওয়্যার। ভুয়া তথ্য শনাক্ত করতে সক্ষম এই সফটওয়্যারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিমাস্কুয়োক’। লিথুয়ানিয়ার কোম্পানি ডেলফি গুগলের সাথে মিলে সফটওয়্যারটি বানিয়েছে। লিথুয়ানিয়ান ভাষায় ডিমাস্কুয়োক শব্দটির অর্থ স্বরূপ উন্মোচন করা। আপাতত সফটওয়্যারটি লিথুয়ানিয়ান, ইংরেজি ও রুশ- এই ৩ ভাষায় ভুয়া তথ্য শনাক্ত করবে। সফটওয়্যারটি কয়েকটি ধাপে ভুয়া তথ্য শনাক্ত করবে। প্রথমেই যে সকল শব্দগুলো ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়, সেগুলোকে শনাক্ত করে এসকল শব্দ ব্যবহৃত খবরগুলো যাচাই করা হবে। সাধারণত মানুষের আবেগ-অনুভূতিতে আঘাত আনাই ভুয়া খবর ছড়ানোর উদ্দেশ্য। সফটওয়্যারটি আবেগতাড়িত করা খবরগুলোও খুঁজে বের করবে এবং সত্যতা যাচাই করবে। এছাড়াও ভুয়া তথ্যগুলো বেশি বেশি শেয়ার হয় বলে ‘ডিমাস্কুয়োক’ অধিক শেয়ার হওয়া খবরগুলো যাচাই করবে এবং সেগুলোর সত্যতা যাচাই করে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে শেয়ার করা হচ্ছে কি না, সেটাও যাচাই করবে। এখানেই ‘ডিমাস্কুয়োক’ এর কাজ শেষ নয়। ভুয়া তথ্যগুলোতে কাদের বক্তব্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তাদের আরও বক্তব্য অন্য কোনো প্রতিবেদনে আছে কিনা, সব যাচাই করবে। এরপর সেসকল প্রতিবেদনেরও সত্যতা যাচাই করা হবে। দীর্ঘদিনের গবেষণার ফল এই সফটওয়্যারটি নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরাস ডকসাস বলেছেন, এটি এতটাই শক্তিশালী যে ভাঙ্গা আয়নাকেও জোড়া লাগিয়ে ফেলতে পারে। আসলে সফটওয়্যারটির কার্যকারিতাকে তুলে ধরতেই এই প্রতীকী কথাটি তিনি বলেছেন। তার মতে, ভুয়া তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া একটি বড় হুমকি। সম্প্রতি ডেলফি তথ্যের উপর নজর রাখার কাজটি শুরু করে দিয়েছে। এ কাজে ডেলফিকে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সহায়তা করছে। এছাড়াও এ কাজে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo