• অপরাধ ও দুর্নীতি

চাটমোহরের গুমানী নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৯:৩৯

ছবিঃ সিএনআই

পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শুকিয়ে যাওয়া গুমানী নদীতে পড়েছে মাটিখেকো চক্রের কালো থাবা। এই নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনরুপ পদক্ষেপ নেই। নদী থেকে মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাটাগুলোতে। অনবরত মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি দিনে ও রাতে মাটি বোঝাই ডাম্পট্রাক ও কুত্তাগাড়ি চলাচল করায় এলাকার সড়কগুলো বিনষ্ট হচ্ছে। গুমানী নদী থেকে দিনে-রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।

সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিমাইচড়া ইউনিয়নের দুইজন নির্বাচিত মেম্বর নায়েব আলী ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন গুমানী নদীর নিমাইচড়া পশ্চিমপাড়া, ধানকুনিয়া মন্ডলবাড়ি ও মির্জাপুর এলাকায় দিনে-রাতে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। স্থানীয় এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় এই মাটি কাটার মহোৎসব চলছে বলে জানালেন এলাকাবাসী। তবে এই দুই মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

গুমানী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ‘চলনবিল রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠণ বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। 

ইতোপূর্বে গত ২০ মার্চ একই সংগঠণ পাবনা জেলা প্রশাসক, চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দেয়। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি। বরং মাটি কাটা আরো বেড়েছে।

চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব, বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান বলেন, গুমানী নদীতে মাটি কাটা বন্ধের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোন ফল পাওয়া যায়নি। বরং গুমানী নদীতে মাটি কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। আজকে (৪ এপ্রিল) ফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন দিয়ে কথা বলেছি। দেখা যাক কি হয়।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেদুয়ানুল হালিম বলেন, নদীর মাটি কাটা অপরাধ। নদী থেকে মাটি কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo