• অপরাধ ও দুর্নীতি

মেঘনায় বেপরোয়া জলদস্যুরা, এক সপ্তাহে ১৫ ডাকাতি! 

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৪ জুলাই, ২০২১ ১৫:০৭:০৩

ছবিঃ সিএনআই

তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলা তজুমদ্দিনে মেঘনায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জলদস্যুরা। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নৌকা বা মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে জেলেরা। ভরা মৌসুমেও ইলিশসহ অন্যান্য মাছের আকাল থাকলে ও থেমে নেই জলদস্যুদের তৎপরতা।

জেলেরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে মাছ শিকার করতে গিয়ে জাল নৌকা ও মাছ ধরার সরঞ্জামাদি হারিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। জলদস্যুরা নৌকা ও জেলেদেরকে জিম্মি করে নৌকা ভেদে ২০-৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে নিচ্ছে।

বেঁধে দেয়া টাকা জিম্মি হওয়া জেলেদের স্বজনরা জলদস্যুদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে না দেয়া পর্যন্ত জাল নৌকা ও জেলেদের মুক্তি মেলে না। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে জিম্মি করা জেলেদের ওপর নির্মম নির্যাতন।

বাধ্য হয়েই ধার দেনা করে জলদস্যুদেরকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয়। আর প্রাণভয়ে এসব নীরবে হজম করে যান জেলেরা। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে জানাতে ভয় পান। এ তো গেল রাতের মেঘনার চিত্র।

সোম ও মঙ্গলবার দু’দিন উপজেলার মেঘনা সংলগ্ন জেলে অধ্যুষিত শশীগঞ্জন, চৌমুহনী মাছ ঘাট,গুরিন্দা   চরমুজাম্মেল   এলাকায় সরেজমিন ঘুরে জেলেদের দেয়া বক্তব্যে এসব তথ্য জানা যায়। এ সময় তাদের চোখে মুখে ভীতির ছাপ ছিল স্পষ্ট।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এসব জেলেরা জানান, গত এক সপ্তাহে তজুমদ্দিন জেলেদের ১০/১৫টি নৌকা জলদস্যুদের ডাকাতির শিকার হয়েছে। গত  ১২ সোমবার   জুলাই গভীর রাতে উপজেলার মেঘনা  এলাকার  রুবেল মাঝী,শরীফ মাঝী, মাকসুদ মাঝী, নকিব মাঝী ও সফু মাঝী নৌকা,  একই এলাকার  নৌকায় হানা দিয়ে জলদস্যুরা জেলেদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে জাল, মাছ, সোলার প্যানেল, জেলেদের মোবাইল ফোনসহ সব সরঞ্জাম নিয়ে যায়।

১৩ জুলাই রাতে  তজুমদ্দিন সুলিজ ঘাট  মেঘনা নদীতে থেকে আলাউদ্দিন  মাঝির ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি জাল মাছ সোলার মোবাইল সহ সব নিয়ে যান ডাকাত দল।এ সব ঘটনা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে জানানো হচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে জেলেরা বলেন, তাহলে আমরা জীবন নিয়েই নদী থেকে ফিরতে পারবো না।

এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানা  ইনচার্জ এস এম জিয়াউল হক  বলেন, মেঘনায় দিনরাত পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা শুনেছি একটি চক্র জলদস্যুর ডাকাতি করছো।

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo