
ছবিঃ সিএনআই
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ শীতকাল আসার আগেই গ্রাম বাংলার এক চিরায়ত ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে দক্ষিনাঞ্চলে বিশেষ করে ঝিনাইদহ জেলাজুড়ে যেন এক উৎসবের আমেজ! আগাম খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য মহাব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় গাছিরা। কারণ একটাই যত আগে রস, তত বেশি দাম। জেলার বিভিন্ন এলাকায়, বিশেষ করে সদর,কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর উপজেলার রাস্তার পাশে, এখন চোখ রাখলেই দেখা মিলছে কোমরে মোটা রশি আর পেছনে ঠোঙা ঝুলিয়ে খেজুর গাছে চড়ছেন গাছিরা। তারা নিপুণ হাতে গাছ পরিষ্কার ও পরিচর্যার কাজ করছেন। রাস্তার পাশ দিয়ে যওয়ার সময় খেজুর গাছের মালিক ও গাছি বাবুল বিশ্বাস জানালেন তাদের এই ব্যস্ততার রহস্য। তিনি বলেন, "আর এক সপ্তাহ পরই গাছ চাচা ও নলি গোঁজার কাজ শুরু হবে। তবে এখন দ্রুত গাছ তোলার (পরিচর্যা) কারণ হলো, আগাম রস বের হলে আমরা গুড়ের দাম ও পাটালির দাম বেশি পাব। তাই শীত পুরোপুরি আসার আগেই আমরা গাছ তুলছি, যাতে তাড়াতাড়ি রস বের হয়।" এই ব্যবসায়িক কৌশলই তাদের দ্রুত কাজ করার প্রেরণা দিচ্ছে।
এই সুমিষ্ট খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সব খাবার। নলিন গুড়ের পাটালি থেকে শুরু করে নানা সুস্বাদের মজাদার আইটেম—পায়েস, ক্ষীর, পিঠা এবং বিভিন্ন ধরনের মজাদার খাবারের আইটেম। শীত এলেই এসব খাবারকে কেন্দ্র করে শুরু হবে গ্রামজুড়ে পিঠা উৎসব। সংকটে ঐতিহ্য, সচেতনতাই একমাত্র ভরসা তবে আনন্দের মাঝেও চাপা উদ্বেগ। গাছিদের অনেকেই জানাচ্ছেন, আগের তুলনায় খেজুর গাছের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। ইটভাটা ও পরিবেশগত কারণে গাছ উজাড় হওয়ায় বাংলার এই ঐতিহ্য আজ সংকটের মুখে। ঐতিহ্যবাহী এই সুস্বাদু খেজুরের রস ধরে রাখতে হলে সাধারণ মানুষের জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং খেজুর গাছের সংখ্যা বাড়ানোই একমাত্র উপায়। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও জনসচেতনতায় বাংলার এই ‘মধুবৃক্ষ’কে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। এ বছর গাছিদের চোখে আগাম রসের যে স্বপ্ন, তা যেন গ্রামের অর্থনীতিতে নতুন গতি আনে এটাই এখন সকলের প্রত্যাশা।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সায়মা আক্তার ম...
পাবনা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে পাবনা ...
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : নির্বাচনে ...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ...
গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় এবার এইচএস স...
মন্তব্য (০)