
নিউজ ডেস্কঃ আসন্ন নির্বাচনে সরাসরি ৫ শতাংশ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে বিএনপি। সেই সাথে প্রার্থী হিসেবে তরুণরা গুরুত্ব পাবে বলেও জানান বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর চলতি মাসেই ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
মধ্য ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে হাতে সময় সর্বোচ্চ ৪ মাস। এ সময়ের মধ্যে দলগুলোর চ্যালেঞ্জ, জিতে আসার মতো প্রার্থী নির্বাচন।
এরইমধ্যে কারা পেলেন বিএনপির সবুজ সংকেত এমন আলাপে সরগরম রাজনীতির মাঠ। মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও সর্বোচ্চ চেষ্টায় ব্যস্ত জনসমর্থন ও গণমাধ্যমের দৃষ্টি নিজের পক্ষে নিতে। ১ম বারের মতো নির্বাচনে অংশ নেবেন এমন প্রার্থীদের চাওয়া, পেশিশক্তি নয়, মেধাশক্তির ভিত্তিতে হোক আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, ‘সুসম্পর্ক জনগণের সঙ্গে যেটা কানেক্টিভিটি থাকা দরকার সেটা আমার আছে। সাধারণ জনগণের সঙ্গেই এখানে বেড়ে ওঠেছি। আমার বাল্যকাল, শৈশব, আমার রাজনৈতিক জীবন সবই এ নির্বাচনি এলাকায়।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ গোলাম জাকারিয়া বলেন, ‘দল যেই নির্দেশনাগুলো দিয়েছে, মানুষের পাশে থাকা, তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনা এবং দুর্দশা লাঘবে দলের পক্ষ থেকে সকলকে একত্রিত করে কাজ করে যাওয়া।’
প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সৃজনশীল মননের একটা রাজনীতি দেখাতে হবে। রাজনীতি হবে বুদ্ধিবৃত্তিক, মেধা ভিত্তিক। আগের ৯০ দশকের রাজনীতি এখন আর নেই।’
এদিকে পরীক্ষিতদের দাবি- দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় এবং জন সম্পৃক্ততা নেই এমন প্রার্থীকে যেন মনোনয়ন না দেয়া হয়।
মনোনয়ন প্রত্যাশী রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘নির্বাচন আসলেই নেতারা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে ওইসব এলাকায় নেতাদের নমিনেশন দেয়া ঠিক না। তাই আমি মনে করি তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন যে যাদের দলের প্রতি ত্যাগ আছে, সম্পৃক্ততা আছে, ত্যাগ আছে তাদের মনোনয়ন দেবেন।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, ‘সবুজ সংকেত বা নীল সংকেত কোনো বিষয় না। বিষয় হলো ম্যাডাম উৎসাহ যুগিয়েছেন। কাউকে যদি দল মনোনয়ন দেয়, দল নিশ্চয় নিজের ক্ষতি করবে না।’
এদিকে অনেক আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় দলীয় শৃঙ্খলায় যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তেমনি এসব সমস্যা সমাধানেও কোন পদক্ষেপও দেখা যায়নি। এরমধ্যেই চলতি মাসে ২০০ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সেজন্য আমরা একক প্রার্থী সিলেকশনের কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। খুব শীঘ্রই তাদের সবুজ সংকেত দেয়া হবে যাতে তাদের দায়িত্ব থাকে সব রকমের সমস্যা মোকাবিলা এবং সমাধানের জন্য। বিএনপির এমন আসন আছে যে ১৫০ থেকে ২০০ পর্যন্ত, যেকোনো সময় নির্বাচন করলেই জয়লাভ করার সম্ভাবনা থাকবে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলছেন, এবার সরাসরি ৫ শতাংশ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেইসাথে প্রার্থী হিসেবে তরুণরাও গুরুত্ব পাবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা তারুণ্যের রাজনৈতিক ধারণাকে ধারণ করেছি। তার একটা প্রতিফলন থাকবে। আমাদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমরা সেটা প্রতিফলিত করবো। নারী আসনের ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই প্রস্তাব দিয়েছি যে ৫ শতাংশ সরাসরি নির্বাচনের জন্য আমরা মনোনয়ন দেবো।’
এবার সমমনা দলগুলোর জন্য বিএনপি কত আসন ছাড়বে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোন আসনে নির্বাচন করবেন সেটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে তফসিল ঘোষণা পর্যন্ত।
মন্তব্য (০)