• লিড নিউজ
  • খেলাধুলা

বিসিবি নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

  • Lead News
  • খেলাধুলা

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এখন টেলিভিশনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকার তার এ বক্তব্য উঠে এসেছে। এছাড়া তামিম ইকবালের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকে একরকম শঙ্কা হিসেবেও দেখছেন এই তরুণ উপদেষ্টা। তিনি জানান, প্রার্থী বিশ্লেষণে আসন্ন বিসিবি নির্বাচনে বুলবুলকেই এগিয়ে রাখছেন। তবে সরকারি হস্তক্ষেপের কথা বলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখানোর বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ।

‎শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়া একসময় রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে সেই ভুল তার ভেঙেছে। বাংলাদেশের দুই ক্রিকেট কিংবদন্তি মাশরাফি-সাকিবদের ভুল ভেঙেছে কি না সেই উত্তর অজানা তবে তাদের পরিণতি দৃশ্যমান। রাজনীতিতে জড়িয়ে নায়ক থেকে ভিলেনে পরিণত হয়েছেন তারা। জেনে-শুনে তামিম ইকবালও কি সেই একই পথে হাঁটছেন?

‎আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা তো স্পষ্ট, দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, বিসিবি নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে। বিসিবির নির্বাচনে যেখানে ৫ আগস্টের পর, বিশেষ করে আমাদের সাবেক দু’জন তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান এবং মাশরাফি বিন মর্তুজা, তারা দু’জন সরাসরি খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন, এমপি হয়েছেন। তাদের পরিণতি বা যে পরিবেশ হয়েছে- তারপর মোটামুটি এটা একটি “পিপলস কনশেনসাস” এবং ভক্তদের দিক থেকে এটা একটা চাওয়া যে, খেলা বা স্পোর্টস জিনিসটা রাজনীতির বাইরে থাকা উচিত।’

‎তিনি বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামও বলেছেন যে, আমরা ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখবো। কিন্তু কথা আর কাজের মিলটা আমরা দুঃখজনকভাবে পাচ্ছি না। বিএনপির একজন সাবেক এমপি এবং সাবেক বিসিবি প্রেসিডেন্ট সরাসরি বলেছেন যে, তামিম ইকবাল আমাদের একজন প্রার্থী। এটা তো জাতীয় নির্বাচন নয়, এখানে তো নোমিনেশন.. ওনারা যেন সংবাদ সম্মেলন করে নোমিনেশন দিচ্ছেন তামিম ইকবাল ভাইকে। তো এটা একটু শঙ্কার বিষয়, আমার জায়গা থেকে, পলিসির জায়গা থেকে।’

‎তিনি আরও বলেন, ‘খেলাধুলার রাজনীতিকরণ হওয়ার যে ফল, সেটা তো আমরা বিগত সময়ে দেখেছি। সেখান থেকে আমাদের আসলে শিক্ষা নেয়ার অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা শিক্ষা নেইনি। খেলাধুলাকে আমরা রাজনীতিকরণ করছি, স্পয়েল করছি এবং সেটা একটা রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে করা হচ্ছে।’

‎এরই মধ্যে বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাল দেশের ক্রিকেট। বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর মনোনয়ন দিতে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো চিঠি নিয়ে হয়েছে তুলকালাম কাণ্ড, যেটি গড়িয়েছে আদালতেও। এসবকে নোংরামি-স্বেচ্ছাচারিতা আর ক্ষমতার অপব্যবহার বলে মন্তব্য করেছেন তামিম ইকবাল। অভিযোগ উঠেছে সরকারি হস্তক্ষেপেরও। সব অভিযোগের জবাব দিলেন আসিফ মাহমুদ।

‎ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘কোর্ট তো বিসিবি সভাপতির চিঠিকে বৈধ বলেই নির্দেশনা দিয়েছে। দুই দফা পেছানোর পরও অধিকাংশ ক্লাবের প্রেসিডেন্টরাই তো এসেছে। যারা অভিযোগ করছেন, তারাও তো ওই পেছানো সময়টাকে কাজে লাগিয়েছেন এবং কাউন্সেলর পাঠিয়েছেন। আমাদের রুটিন কাজকে হস্তক্ষেপ বললে, আমার একজন আন্ডার কমান্ড, তার সঙ্গে আমি বা আমার মন্ত্রণালয়ের সেকরেটারি বা কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যোগাযোগ করতে পারবে না এটা কোন কনস্টিটিউশনে লেখা আছে? এ ধরনের হাস্যকর অভিযোগ নিয়ে এসে, নিজেদের হাসির পাত্রতে পরিণত করা উচিত নয়। আপনার যদি মনে হয়, কোনো কিছু নিয়মতান্ত্রীকভাবে হচ্ছে না, তাহলে কোর্টে তো আপনা গিয়ৈছেন, চাইলে আইসিসির কাছে যেতে পারেন। দেশে তো এখন আইনের শাসন আছে। আপনি তো বলতেছেন, “আমি ঘেরাও দেবো, আমি দখল করবো।”—এগুলো ডেমোক্রেটিক স্পিরিট নয়।’

‎আসন্ন বিসিবি নির্বাচন ঘিরে দেশের ক্রিকেটের সাবেক তিন অধিনায়ক মুখোমুখি । এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে কথার লড়াই। কাঁদা ছোঁড়াছুড়িও কম হয়নি। ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে ফারুক আহমেদ আর আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে কাছ থেকে দেখেছেন আসিফ মাহমুদ। এখন টেলিভিশনকে জানালেন তার পর্যবেক্ষণ। তামিম ইকবালকেও স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ক্রীড়া উপদেষ্টা।

‎উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি যদি ডিরেক্টর হতাম এবং আমার যদি ভোট থাকতো আমি বুলবুল ভাইকে ভোট দিতাম। আমার জানামতে ফারুক আহমেদ প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট নয়। ডিরেক্টরের জন্য হতে পারেন, ডিরেক্টর তো ২৫ জন। প্রেসিডেন্টে এখন পর্যন্ত যে দু’জন ক্যান্ডিডেটশিপ ঘোষণা করেছেন, আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাই এবং তামিম ইকবাল—তাদের মধ্যে যেকেউ জিতলেই আমি মনে করি সেটা আমার জন্য একটা উইন। স্পোর্টসটা স্পোর্টসের মানুষের কাছেই থাকছে।’

‎নির্বাচন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেশের ক্রিকেট বোর্ডে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ নিয়ে বিস্তর সমালোচনা আছে। আবার সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিও আছে। এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।

‎৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অঙ্গীকার ছিল ক্রিকেট সহ সকল ক্রীড়া ফেডারেশন থেকে রাজনীতির কালো ছায়া সরানোর। পরিবর্তন শুরু হয়েছে। তবে পদে পদে বিভিন্ন মহল থেকে দেখানো হয় নিষেধাজ্ঞার জুজু।

‎আসিফ বলেন, ‘আমরা এক বছর ধরে কাজ করছি, আমাদেরও তো আইসিসি এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল সবার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। আমার মনে হয়, এটা সবসময় জুজুর ভয় দেখিয়ে রাখা হয় সবসময় যে, নিষেধাজ্ঞা দেবে।’

‎রাজনীতি-নির্বাচন-ক্ষমতা প্রসঙ্গগুলো আসলেই অনিয়ম কিংবা বিতর্ক চিরন্তন। তবে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে আলোচনা, অংশগ্রহণ আর সুপরিকল্পনায় কেটে যাক সকল প্রতিবন্ধকতা । যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ক্রীড়াঙ্গন।

মন্তব্য (০)





image

বিসিবি নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ ক্রীড়া উপদেষ...

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্ত...

image

৪১ বছর পর এমন ফাইনাল, ভারতকে ‘হুমকি’ দিল পাকিস্তান

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। ...

image

‎টি স্পোর্টসের কাছে পাওনা অর্থ নিচ্ছে না বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদকঃ বিপিএলের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব বাবদ ব...

image

সরকারের একটি অংশ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়: তামিম ইকবাল

নিউজ ডেস্কঃ বিসিবি নির্বাচনের সময় যতই এগোচ্ছে, ততই উত্তেজনা ...

image

বিপিএল এখন নাম বদলে বিএফএল

নিউজ ডেস্কঃ দেশের পেশাদার ফুটবলের সর্বোচ্চ স্তরের প্রতিযোগিত...

  • company_logo