
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নারীর ন্যায্য অধিকার পরাজিত হয়েছে পুরুষতন্ত্রের কাছে। আপনারা যারা নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চান তাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাওয়া এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি: নারী ও তরুণদের নেতৃত্বের অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমি সরকারের কেউ না, বেতনভুক্ত কেউ না। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পালন করছি আমার দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, নারীর ন্যায্য অধিকার পরাজিত হয়েছে পুরুষতন্ত্রের কাছে। বল এখন রাজনৈতিক দলগুলোর কোর্টে। আপনারা যারা নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে চান, তাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে যাওয়া এবং তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা উচিৎ। আমরা নারী অধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনায় পাঁচ-পাঁচবার তুলেছি কিন্তু ফলাফল আসেনি।
এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল।
নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজনীতিতে আলোচনার বিকল্প নেই। তবে আলোচনা লোকদেখানো নয় সত্যিকারের আলোচনা হওয়া উচিৎ। যা গণতন্ত্রকে সামনে দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নারীরা রাজপথে না নামলে গণঅভ্যুত্থান সফল হতো না। অথচ দেখা গেল সরকারে উপদেষ্টার পদ পেলেন তিন ছাত্র। কোনো ছাত্রীকে এ পদ দেয়া হয়নি। শুরু থেকেই সরকার বৈষম্য উৎপাদন করছে, যেখানে আমরা অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাশা করছিলাম।
প্রধান উপদেষ্টা ১০০ জন নিয়ে জাতিসংঘে যাবেন এটা কী তার কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম এমন প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, এভাবে রাষ্ট্রর অর্থের অপচয়!
আন্দোলন সংগ্রাম করবে তরুণরা আর ফল ভোগ করবে সিনিয়র সিটিজেনরা! তরুণরা সব সময় ঝুঁকি নেয়, কিন্তু মূল্যায়িত হন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, বিপ্লবে চ্যাম্পিয়ন আমরা, কিন্তু প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে এখনও আমরা বের হতে পারিনি। এ সরকার মারাত্মক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে পদে পদে। প্রতিহিংসা বার বার রক্তাক্ত করছে আমাদের রাজনীতিকে। সব কিছু নতুন করে চিন্তাভাবনা করা উচিৎ।
গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কথা বলি, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার খুবই প্রয়োজন। ঐকমত্য কমিশনকে বলা হচ্ছে পুরুষ ক্লাব।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেকারত্ব টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্...
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূ...
নিউজ ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ...
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জে...
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভিওসা ওসমানি বুধবা...
মন্তব্য (০)