
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ ‘শাপলা’ প্রতীক না পেলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেব— এনসিপির এমন মন্তব্যকে হুমকি মনে করেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাপলা প্রতীক না দিলে নির্বাচন কীভাবে হয় তা দেখে নেব— এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের এমন বক্তব্যকে হুমকি হিসেবে দেখেন কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, না, মোটেও হুমকি মনে করি না। কারণ উনারা তো দেশদ্রোহী না। উনারাও দেশপ্রেমিক। উনারাও দেশের মঙ্গল চান, দেশের ভালো চান। যে ধরনের কর্মকাণ্ড করলে দেশের মঙ্গল হবে সেটা উনারাও বুঝেন। আমি এটাকে দেশের জন্য হুমকি মনে করি না। আমরা খুব মনোযোগী শ্রোতা।
মাহমুদুর রহমান মান্নার দল নাগরিক ঐক্য প্রথম ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছিল উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ওরা কিন্তু প্রথম শাপলা চেয়েছিল। দরখাস্ত দিয়েছে, তারপর আমার সাথে ডেলিগেশন নিয়ে দেখা করেছে। তখন আপনারা আলোচনায় আনেনই নাই। এখন এত আলোচনা করছেন। আমরা ওদেরকে তো দেইনি। প্রথম চেয়েছে, দেই নাই। আমাদের সিনিয়র সেক্রেটারি অলরেডি এ ব্যাপারে অনেক ব্রিফ করেছেন। আমি এ ব্যাপারে আর কোনো বক্তব্য এখন দিতে চাই না।
বিধিমালা সংশোধন করার জন্য এনসিপির চিঠির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, চিঠিটা গতকালকে দিয়েছে, শুনেছি। আমাদের কমিশনে আলোচনা করে এটার ব্যাপারে আমাদের করণীয় নির্ধারণ করব। পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত আমরা নেব কমিশন সভায়।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে ইলেকশন করার জন্যই আমাদের চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। আপনারা দেখছেন এবং জানেন যে আগামী বছর রমজানের আগে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন করার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, আমরা জোরেসোরে নিচ্ছি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা এখন নিউইয়র্কে আছেন। আপনারা দেখছেন, যার সাথেই দেখা করছেন তাকেই বলছেন যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। আমি গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই এবং একটা সুন্দর নির্বাচন ঐতিহাসিক নির্বাচন দিতে চাই। উনার ওই কথাগুলোকে বাস্তবায়ন করার জন্যই আমরা কিন্তু কাজ করছি, যেন একটা ঐতিহাসিক নির্বাচন হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কিন্তু আপনাদের ছাড়া পারব না। আমরা যত ভালোই করি, আপনারা যদি উল্টোটা বলেন, তাহলে সব বরবাদ হয়ে যাবে। আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আন্তরিকতা নিয়ে আপনারা মানুষকে বোঝাবেন যে আমরা আন্তরিক আছি। আমরা বিবেকের তাড়নায় চলি। আইন-কানুন মতো চলতে চাই। কনস্টিটিউশন মতো চলতে চাই। একটা সরল সোজা পথে চলতে চাই। কোনো বাঁকা পথে নয়। কাউকে কোনো ফেভার করার জন্য না, একবারে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই। এই বক্তব্যটা আপনারা সবার কাছে তুলে ধরবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেকারত্ব টেকসই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্...
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূ...
নিউজ ডেস্কঃ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ...
নিউজ ডেস্কঃ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ও নির্বাচন ব্যবস...
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জে...
মন্তব্য (০)