• সমগ্র বাংলা

গঙ্গাচড়ায় অসহায়দের ভ্যান ও ঘর নির্মাণ সামগ্রী দিলো কল্যাণ পরিষদ

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সিএনআই

রংপুর ব্যুরো : রংপুরের গঙ্গাচড়ায় অসহায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন আলমবিদিতর ও বড়বিল কল্যাণ পরিষদ।

সোমবার  (৮ সেপ্টেম্বর )বিকেলে উপজেলার তালুক ভুবন কছিমিয়া মোবারক শাহী ঈদগাহ মাঠে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ভ্যান ও ঘর নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন।

আয়োজকরা জানান, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবিক কাজের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। গত এক বছরের মধ্যে তারা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আটজন অসহায় মানুষের মাঝে অটোরিকশা, ভ্যান, ঘর নির্মাণ সামগ্রী এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করেছে।

অনুষ্ঠানে ইউএনও মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন,গ্রামীণ সমাজে এখনও বহু মানুষ ন্যূনতম কর্মসংস্থান ও আবাসনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আলমবিদিতর ও বড়বিল কল্যাণ পরিষদের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, সামাজিক সংগঠনগুলোও যদি এভাবে এগিয়ে আসে তবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন বলেন,মানুষকে স্বাবলম্বী করতে হলে কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। কর্মহীন একজন মানুষের হাতে যদি একটি ভ্যান তুলে দেওয়া যায়, তবে তিনি শুধু নিজের পরিবারই নয়, সমাজকেও এগিয়ে নিতে পারেন।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম সাবু বলেন,আমরা বিশ্বাস করি—সমাজের শক্তি একত্রিত হলে বড় কোনো পরিবর্তন সম্ভব। ক্ষমতার হাত বাড়াই, আলমবিদিতর ও বড়বিল একসাথে দাঁড়াই এই স্লোগানকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।”

পরিষদের সদস্যরা জানান, এ ধরনের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য হলো অসহায় মানুষদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা। ভ্যান বা অটোরিকশা দিয়ে আয় রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হবে, আবার ঘর নির্মাণ সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে তাদের আবাসনের সমস্যাও আংশিকভাবে সমাধান হবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রেয়াজুল ইসলাম বলেন,গ্রামের অনেক পরিবার আজও খড়মাটির ভাঙা ঘরে দিন কাটায়। সংগঠনের এই সহযোগিতা তাদের জন্য আশার আলো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বোরহান শাহ, এরশাদুল ইসলাম ইমন, এম এ বাতেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

গ্রামীণ সমাজে এই ধরনের উদ্যোগ একদিকে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখছে, অন্যদিকে মানবিকতারও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। আয়োজকরা আশা করছেন, তাদের এই প্রচেষ্টা অন্য সামাজিক সংগঠনগুলোকেও অনুপ্রাণিত করবে।

সংগঠনের সদস্য এরশাদুল ইসলাম ইমন বলেন,

“আমরা চাই, এলাকার প্রতিটি সামর্থ্যবান ব্যক্তি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এগিয়ে আসুক। তাহলেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব।

অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই এ ধরনের উদ্যোগের আসল অর্জন। গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর ও বড়বিল কল্যাণ পরিষদের এই মানবিক কার্যক্রম প্রমাণ করছে—ইচ্ছাশক্তি থাকলে সীমিত সামর্থ্য দিয়েও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব।

মন্তব্য (৩)





image
image
image
image

বেনাপোলে অস্ত্র ঠেকিয়ে ফিল্ম স্টাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরন...

বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোলে মাকে মেরে ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে স্কুলের ...

image

বালু বোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কালিয়াইশ...

image

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নীতিমালা নিয়ে জামালপুরে জনসচেত...

জামালপুর প্রতিনিধি : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (DAE)-এর নীতি ও সেবা সম্পর্কে জ...

image

নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৫ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রি...

image

নিজ সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ মায়ের, ইউএনও’র অভিযানে যুবকে...

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মায়ের লিখিত অভিযো...

  • company_logo