
ফাইল ছবি
নিউজ ডেস্কঃ বিরোধীদের সরাসরি হত্যা করতেন শেখ মুজিবুর রহমান আর হাসিনা শুধু হত্যা নয় নির্যাতনও করতেন, জবানবন্দিতে এমনটি বলেছেন সদ্যপ্রয়াত লেখক, গবেষক, রাজনীতিক ও জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ৬ পৃষ্ঠার জবানবন্দি দেন এবং ভিডিও জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়। তিনি মারা যাওয়ার পর সেটি প্রকাশ করা হয়।
জবানবন্দিতে বদরউদ্দীন উমর বলেন, ‘শুধু নির্বাচনের কারচুপিই নয়, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর নিষ্ঠুর দমন চালিয়েছে শেখ হাসিনা। কোনও রাজনৈতিক দল যাতে কার্যকরভাবে নড়াচড়া করতে না পারে, সে জন্যও নির্যাতন করা হয়েছে। প্রচুর মানুষকে গ্রেফতার করে বছরের পর বছর আটকে রাখা হয়েছে বিনা কারণে। আয়না ঘর নামে টর্চারসেল তৈরি করা হয়েছে—যেটা শেখ মুজিবের আমলেও ছিল না। শেখ মুজিব বিরোধীদের সরাসরি হত্যা করতেন; শেখ হাসিনা শুধু হত্যা করতেন না, নির্যাতনও করতেন এবং এতে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ পেতেন। সুতরাং, এভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে নিজের করায়ত্ত করেছেন এবং প্রকৃতপক্ষে জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক একেবারেই ছিন্ন হয়ে গেছে।’
‘শেখ হাসিনার আমলে বিচারবহির্ভূত খুন নির্যাতন নিয়ে যদি বলতে হয়, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এই ধরনের কাজ কেবল সেই ব্যক্তি করতে পারে যার হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা রয়েছে। যার অধীনে ইন্টেলিজেন্স বিভাগ, ডিজিএফআই-এর মতো সংস্থা থাকে। আয়না ঘরের মতো গোপন নির্যাতন সেল কিংবা গুমের মতো অপরাধ—এসব তো ডিজিএফআই-এর মাধ্যমেই ঘটানো হয়েছে। যতগুলো অপহরণের ঘটনা দেখা যায়, তার পেছনে ডিজিএফআই-এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এরপর তারা অন্যভাবে—যাকে বলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সেগুলোও সংগঠিত করেছে। তারা এসব করেছে বিরোধী দল, বিশেষকরে বিএনপিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখার লক্ষে। বিএনপিকে তারা ধীরে ধীরে পিষ্ট করে রেখেছে, দমন করেছে, মারধর করেছে। শেষদিকে দেখা গেছে, তারা কোনও মিটিং-মিছিল করতে গেলেও পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়ে তা ভেঙে দিয়েছে। যতই জনসমাবেশ হোক না কেন, পুলিশ দিয়ে তা দমন করা হয়েছে। শেষবারের মতো দেখা গেল, এক বিশাল মিছিল থেকে বিএনপিকে একেবারে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হলো। এইভাবে পুলিশ দিয়ে মারপিট করলে বিরোধী পক্ষ—যারা নিরস্ত্র, যারা পাল্টা সশস্ত্র আক্রমণ করতে পারে না, তারা ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে পড়ে, অকার্যকর হয়ে যায়। এভাবেই শেখ হাসিনা তার শাসনামলে বিএনপিসহ সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলকে অকার্যকর করে ফেলেছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুলাই শ্বাসকষ্ট ও নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে বদরুদ্দীন উমর হাসপাতালে ভর্তি হন। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন গত সপ্তাহে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর শ্যামলীতে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০টা ৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
নিউজ ডেস্কঃ অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেছেন, জুলাই ও ৭...
নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের জলবায়ু সংকটের গল্প বিশ্বে তুলে ধরতে গণমাধ্যমের প...
নিউজ ডেস্ক : এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং ওএমআর শিট জমাদানে কড়াকড়...
নিউজ ডেস্কঃ নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনা...
নিউজ ডেস্কঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট...
মন্তব্য (০)