
ছবিঃ সিএনআই
আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি: তরমুজ গ্রীষ্মকালীন ফল হলেও বর্তমানে বর্ষাকালেও চাষ হচ্ছে। নওগাঁর রাণীনগর ও সদর উপজেলায় চাষ হওয়া বর্ষাকালীন কালো হাইব্রিড মার্সেলো জাতের তরমুজ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সারা বছরই এই তরমুজ চাষ করা গেলেও বর্ষাকালে খুব ভালো হয়।
জেলা কৃষি বিভাগের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী প্রকল্পের মাধ্যমে রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নে আর সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নে প্রায় এক একর জমিতে প্রদর্শনীর মাধ্যমে এই তরমুজ চাষ করা হচ্ছে। মাচায় ঝুলছে কালো কালো জাতের তরমুজ। আবার অনেক তরমুজ জালে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। প্রতিদিনই আগ্রহী চাষীরা এই বর্ষাকালীন তরমুজের ক্ষেত দেখতে ভীড় করছেন।
রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: আতিকুর রহমান জানান উচ্চ ফলনশীল মার্সেলো জাতের এই তরমুজ উচ্চমাত্রায় ভাইরাস সহনশীল। গাছ রোপনের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিনে ফসল সংগ্রহ করা যায়। মালচিং পেপার ব্যবহার করে মাচা পদ্ধতিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বর্ষাকালে চাষ হওয়া পরিপক্ক প্রতিটি তরমুজের ওজন ৩থেকে ৫কেজি পর্যন্ত হয়। লম্বাটে ডিম্বাকৃতির এই তরমুজের ভিতরের মাংসল অংশ আকর্ষণীয় গাঢ় লাল রঙের এবং খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট হয়। এই তরমুজের খোলস মোটা হওয়ার কারণে প্রায় এক মাস স্বাভাবিক পরিবেশে রেখে খাওয়া সম্ভব। মার্সেলো শীতকালে মাটিতে চাষ করলে ৭০-৭৫ দিনে সংগ্রহ করা যায় এবং ওজন ৬ থেকে ৮ কেজি হয়। বর্তমান চাষ হওয়া প্রতিটি ফলের সাইজ ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম হয়েছে। আর ২০ থেকে ২৫ দিন পর ফল সংগ্রহ করা যাবে। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫শত থেকে ২হাজারটি তরমুজ পাওয়া সম্ভব।
রাণীনগর উপজেলার কাশিমপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তরমুজ চাষী নিরাঞ্জন চন্দ্র জানান রাসায়নিক সার ও বালাইনাশকের ব্যবহার ছাড়াই বিষমুক্ত তরমুজ চাষ করে ভালো ফলনের জন্য মালচিং পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় তিনি এবার ২৫শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে মাচায় বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করেছেন। পাশাপাশি তিনি উচ্চ ফলনশীল শশাও চাষ করেছেন। প্রতিবছরই তিনি উচ্চ ফলনশীল ও অধিক লাভজনক নিত্য নতুন ফসলের চাষ করে আসছেন। তিনি বাজারে প্রতিটি তরমুজের দাম কেজি প্রতি ৫০-৬০টাকা করে পাবেন বলে আশা করছেন। এতে করে ভোক্তাদের কাছে বিষমুক্ত তরমুজ পৌছে দিয়ে অল্প খরচে ও অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভের আশা করছেন।
রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: মোস্তাকিমা খাতুন চৈতি জানান কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গতানুগতিক চাষাবাদ থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক ও আগ্রহী কৃষকদের মাধ্যমে অধিক ফলনশীল ও অধিক লাভজনক নিত্যনতুন বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করা হচ্ছে। তারই একটি অংশ উচ্চ ফলনশীল মার্সেলো জাতের কালো তরমুজ একটি। মূলত বিষমুক্ত সবজি ও ফল উৎপাদনে জৈবিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রবণতা বাড়াতে এবং কৃষকদের সচেতন করতেই মূলত এই ধরণের প্রদর্শনী প্রদান করা হয়। আগামীতেও উপজেলাতে বিভিন্ন ধরণের নিত্যনতুন উচ্ছ ফলনশীল ও অধিক লাভজনক এই ধরণের সবজি ও ফল চাষে কৃষি বিভাগের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপু&zwnj...
সঞ্জু রায়, বগুড়া:.উত্তরের প্রাণকেন্দ্র বগুড়...
পবিপ্রবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্ত...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্বল্পমেয়াদি সেচসাশ...
নিউজ ডেস্কঃ অনিশ্চয়তায় ভরপুর প্রতিটি নির্ঘুম রাত পেরিয়ে আসে ...
মন্তব্য (০)