
নিউজ ডেস্কঃ পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক গভীর তাৎপর্যময় বাণী প্রদান করেছেন। আজ শনিবার (৫ জুলাই) প্রকাশিত এ বাণীতে তিনি আশুরার ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং হযরত ইমাম হোসেন (রা.) ও কারবালার শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও স্মরণীয় একটি দিন ১০ মহররম। বিশ্বের ইতিহাসে এই দিনটিতে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এই দিনটির মহিমা অসীম।’
তিনি পবিত্র আশুরার ইতিহাসের বিয়োগান্তক ঘটনার কথা স্মরণ করে বলেন, *"এক বিয়োগান্তক বিষাদময় ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত এদিন— যা পবিত্র আশুরা হিসেবে পালন করা হয়। অন্যায়-অবিচার, জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এ দিনে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন।’
বাণীতে তারেক রহমান আশুরাকে শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রাঃ) এর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমামন্ডিত অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইমাম হোসেনের কষ্ট ও শাহাদাত এবং ইসলাম বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছিলেন, তা দুনিয়াতে এক বিশাল প্রেরণার উৎসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়।’
তিনি ইমাম হোসেন (রাঃ) এর সংগ্রামকে ন্যায়বিচার, তাকওয়া, ত্যাগ এবং মানবিক মর্যাদার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন। বাণীতে বলা হয়, ‘হযরত হোসেন (রাঃ) এঁর শাহাদাত অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ। ক্ষমতার প্রতি নিবিড় মোহে আচ্ছন্ন হয়ে যারা ইনসাফ ও মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ইমাম বাহিনী যুদ্ধে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিল।’
এ প্রেক্ষাপটে তিনি সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বাণীতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৬ বছরে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সকল ভাঁওতাবাজির নির্বাচন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, সন্ত্রাস, হানাহানি ও দেশের টাকা বিদেশে পাচারসহ এক অবর্ণনীয় শোষণ ও জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ রাখা এবং তাঁকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল্য।’
তিনি বলেন, ‘আজও ইমাম হোসেন (রাঃ) ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের আত্মদানের চেতনায় দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
বাণীর শেষাংশে তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘আমি শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ), তাঁর শহীদ পরিবার ও সঙ্গীদের শাহাদাতের স্মরণে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই, তাঁদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
মন্তব্য (০)