মা‌নিকগঞ্জে ৩ বছরের শিশুকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠা‌লো পু‌লিশ

ছবিঃ সিএনআই

মা‌নিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  জন্ম নেওয়ার সা‌থে সা‌থে এক শিশু সন্তানকে তার বাবা মা এক নিঃসন্তান দম্পত্তিকে দত্তক দিয়েছিল। এ জন্য নোটারি পাবলিক ক‌রে কাগজ পত্রও তৈ‌রি করা নি‌য়ে‌ছিল। কিন্তু ৩ বছর পার হতেই সেই সন্তানকে ফিরে পেতে আদাল‌তে মামলা ক‌রে‌ছে পিতা মাতা আদাল‌তের নি‌র্দেশে থানা পুলিশ ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে আদাল‌তে প্রেরণ কর‌ছে। 

এ ঘটনাটি ঘটেছে মা‌নিকগ‌ঞ্জের সাটু‌রিয়ায়।

সোমবার ( ২৬ মে ) মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হাজিপুর গ্রামের গনেশ সূত্রধর ও কামনা সূত্রধর দম্পতির কাছে থেকে আদিত্য সূত্রধর (৩) নামের দত্তক নেওয়া শিশুকে উদ্ধার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

দুপুর ১২ টার দিকে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলার হাজিপুর গ্রাম থেকে গনেশ সূত্রধর ও কামনা সূত্রধরের দত্তক নেয়া পুত্র আদিত্য সূত্রধর কে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় আদিত্যর সঙ্গে তার পালক পিতা মাতা ছিল। প‌রে শিশু আদিত্য কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

জানা গে‌ছে, গত ২০২২ সা‌লের ১৯ আগস্ট তা‌রি‌খে   নোটারি পাবলিক টাঙ্গাইল এর মাধ্যমে মাসতুতো বোন টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার কাজীহারা গ্রামের দীলিপ মন্ডলের স্ত্রী বাসনা রানীর কাছ থেকে সে সময় সদ্য জন্ম নেওয়া ছেলে সন্তান কৃষ্ণকে দত্তক নেয় সাটুরিয়া উপজেলার হাজিপুর গ্রামের গনেশ সূত্রধর এর স্ত্রী নি:সন্তান কামনা রানী। দত্তক নেয়ার পর সনাতন রীতি নীতি মেনে ছেলের নাম আদিত্য রেখে অন্নপ্রাশন থেকে সমস্ত ক্রীড়া কর্ম করে। জন্মের পর হতে আদিত্য কামনা গনেশকে মা বাবা হিসেবেই চেনে।

কামনা সূত্রধর কান্না জড়িত কণ্ঠে জানায়, আমি আমার মাসতুতো বোনের কাছ থেকে আদালতে এফিডেভিট করে ছেলেকে নিয়েছি। এ সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে আমিই ভরন পোষণ করেছি। জন্ম হওয়ার আগে এ সন্তানকে নষ্ট করতে চেয়েছিল আমার বোন। আমি তাকে নিষেধ করে সন্তান জন্ম করিয়েছি। সিজার করার টাকা থেকে আমার ভগ্নিপতি কে ২ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছি। বিভিন্ন সময়ে তাকে টাকা প্রদান করেছি। আজ আমার কাছ থেকে ছেলে কেরে নেয়ার জন্য পুলিশ পাঠিয়েছে। ওর তো আরও তিনটি ছেলে আছে। আমার তো একটাই সন্তান কেন নিবে। আমি আমার সন্তান দেব না।

বাসনা রানী জানায়, আমার সন্তান আমার বোন কে দিয়েছিলাম এখন দেব না। বোনের কাছে আমার সন্তান চাইতে গেলে দিবে না বলে। এ জন্য আদালতে মামলা করেছি।

সাটু‌রিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) শাহীনুল ইসলাম জানায়, বাসনা রানী আদালতে একটি মামলা করে। আদালত সন্তান উদ্ধার করে প্রকৃত বাবা মার কা‌ছে বুঝি‌য়ে দি‌তে সার্চ ওয়ারেন্ট জা‌রি ক‌রে। পুলিশ আদালতের নির্দেশে শিশুটিকে উদ্ধার করে মা‌নিকগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে।