• লিড নিউজ
  • স্বাস্থ্য

শিশুর সুরক্ষায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি একটি মাইলফলক: উপদেষ্টা শারমীন ‎

  • Lead News
  • স্বাস্থ্য

ফাইল ছবি

নিউজ ডেস্কঃ সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি একটি মাইলফলক উদ্যোগ।”

‎তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দীর্ঘদিন পর এ ধরনের বৃহৎ পরিসরের টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হওয়া জাতির জন্য একটি আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ। এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

‎রোববার ঢাকার আজিমপুর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় ‘জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিশু, কিশোর-কিশোরী ক্লাব এবং প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছেও এই টিকাদান কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়া হবে।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি ইপিআই কর্মসূচির আওতায় দেশব্যাপী টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

‎বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) প্রদান করা হবে।

‎এটি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একক টিকাদান ক্যাম্পেইন, যার মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। জন্মসনদ না থাকলেও শিশুরা টিকার সুবিধা পাবে-যাতে কোনো শিশুই টিকাদান থেকে বঞ্চিত না হয়।

‎বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন একটি নিরাপদ, উন্নত ও কার্যকর টিকা, যা শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একটি মাত্র ডোজেই ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুরা ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত টাইফয়েড প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে, যা দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

‎স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুল, মাদ্রাসা ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী স্কুলবহির্ভূত শিশুদের বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। শহরের ভাসমান ও পথশিশুদের টিকাদানে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা একযোগে কাজ করছে।

‎সরকারের লক্ষ্য ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে টিকা প্রদান করা। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ শিশুর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে এবং নিবন্ধনের পর টিকার সনদপত্র অনলাইনে সরাসরি ডাউনলোড করা যাবে।

মন্তব্য (০)





image

একদিনে হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৪ ডেঙ্গু রোগী, মৃত্যু নেই

নিউজ ডেস্ক : ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৩৪...

image

ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৮৮ জন

নিউজ ডেস্ক : গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৮৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হ...

image

‎ডেঙ্গু বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচেত...

নিউজ ডেস্কঃ সারাদেশে এডিস মশা সংক্রমণের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়ে...

image

‎শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ও ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি ...

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শান্তা লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি এবং ঢাকা স...

image

ডেঙ্গুতে একদিনে ১০ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক : সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হ...

  • company_logo