কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ সকল বাধা পেরিয়ে কুষ্টিয়ায় পূর্ণরূপ পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৩টি ভাস্কর্য। মজপুর গেট হয়ে শহরে প্রবেশের প্রথমে দেখা যাবে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের অদলে তৈরি ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটির নিচে লেখা আছে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তার পাশে সরন করা হয়েছে জাতীয় চার নেতাকে লেখা হয়েছে তাদের রক্তের ঋন ও সেই অবদান না ভোলার কথা।
যদি শহরের থানার মোড়থেকে মজমপুর গেটের দিগে তাকানো যায় দেখা যাবে ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারীতে তিনি পাকিস্তানের বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন। সেসময় তিনি যেভাবে দেশবাসিকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন সিক সেই আদলে নির্মত তার আরেকটি ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় পূর্ণতা পায়। ভাস্কর্যটির নিচের দিকে ফুটিয়ে তোলা হয় ইউ এন এর লোগো সহ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বাংলায় ভাষনের চিত্র।
আবার যদি শহরের জিকে রাস্তা থেকে দেখা যাই তাহলে দেখা যাবে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবির আদলে তৈরি ভাস্কর্যটি। যে ৬ দফার কারণেই শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু জাতির জনক, সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। ৬ দফার কারণে বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। এই ভাস্কর্যের পাদদেশে দেখানো হয়েছে সেই ৬ দফা আন্দলোনের চিত্র।
ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে নির্মাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের সকল কাজ। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় কুষ্টিয়া বাসী। পৌরসভার অর্থায়নে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বেয়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয় শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তিনটি প্রধান সড়কের দিকে মুখ করে নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুরএই ভাস্কর্য নিমার্ণের দায়িত্ব পান পার্শ্ববর্তী জেলা যশোরের ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম।
গেল বছর ৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ৭ মার্চের ভাষণ দেওয়ার আদলে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে আঘাত হানে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। তাঁদের মধ্যে দুজন মাদ্রাসাছাত্র ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। শনিবার ( ০৬ ফেব্রুয়ারী ) সকালে পাঁচ রাস্তার মোড়ে গিয়ে দেখা যায় শহরের এই ভাস্কর্যগুলোর কাজ শেষের হয়েছে তবে গোনা হচ্ছে উদ্বোধনের প্রহর ।
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের পূর্ণরূপ পাওয়ায় উৎফুল্ল কুষ্টিয়াবাসী। অনেকে বলছে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। বাংলাদেশ থাকতে কোনো দিনও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে কোটি কোটি বঙ্গবন্ধু জন্ম নিয়েছে।
মন্তব্য ( ০)