• শিক্ষা

করোনার প্রভাবে কেমন কাটছে জবিয়ানদের হোম কোয়ারেন্টাইন

  • শিক্ষা
  • ০৬ এপ্রিল, ২০২০ ১১:০০:৩৫

জবি প্রতিনিধিঃ  মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে হঠাৎ থমকে গেল এই শহর বলা যায় গোটা বিশ্ব এমনকি প্রাণ প্রিয় চিরচেনা ক্যাম্পাসটা ও। করোনা ভাইরাসের সৌজন্যে চলছে এখন পুরো পৃথিবী। লক ডাউনে দেশ। সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভয়াল করোনা ভাইরাসের কারণে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চাকুরিজীবী, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ তথা ক্রীড়াঙ্গন এবং সিনেমা জগতের ব্যক্তিত্বরা। লকডাউন হওয়ার ঠিক আগেই অচল হয়ে গিয়েছে গোটা শহর। গৃহবন্দি সকলে। তবে বাসায় থাকা ব্যাপারটা খুব একটা আপত্তি নেই।
হোম কোয়ারেন্টাইন কি?
হোম কোয়ারানটাইনের বাংলা অর্থ স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি। হোম কোয়ারানটিন মানে বাইরে ঘুরে বেড়িয়ে ফুর্তি করা নয়।
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি (আইএইচআর -২০০৫)-এর আর্টিকেল ৩২ অনুসারে, যে সব দেশে নভেল করোনাভাইরাস বা (কোভিড-১৯)-এর স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে সে সব দেশ থেকে যে সব যাত্রী এসেছেন এবং আসবেন (দেশি-বিদেশি যে কোনো নাগরিক), যারা দেশে শনাক্ত হওয়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছেন এবং যার অথবা যাদের কোনো শারীরিক উপসর্গ নেই, তাদের ১৪ দিন কোয়ারানটাইন পালন করা আবশ্যক।
করোনা প্রসঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জগেশ রায় জানান, "করোনা ভাইরাসের প্রভাবে টানা ১০ দিন বাসায় থেকে খুব অস্বস্থি বোধ করছি।  শরীর খুব দুর্বল হয়ে পরেছে। মাঝে ১ দিন বাজার করতে গেছিলাম। এখন বাইরে যাইতেও ভয় লাগে। তাই সব সময় সাবধানতা অবলম্বন করছি। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো বাসায় অবস্থান করা। তাই আমি মনে করি সকলের এই কঠিন সময়ে বাসায় অবস্থান করা জরুরি।
#বাড়িতে_থাকুন
#সুস্থ_থাকুন
হোম কোয়ারেন্টাইন কেমন কাটাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে জবি রোভার-ইন-কাউন্সিল ২০১৯-২০ এর সাধারণ সম্পাদক (সিনিয়র রোভার মেট) মোঃ ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, "প্রাণঘাতি মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে এর সংক্রমণ ঝুঁকি রোধে প্রয়োজন অনিবার্য কারন ছাড়া ঘরের ভিতর থেকে পরিবারের সকলের সাথে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতেছি। এই সময়ে নামাজ, ডিপার্টমেন্ট ও ক্যারিয়ার সম্পর্কিত পড়ালেখা করতেছি। বাসায় বসেই বাংলাদেশ স্কাউটসসহ বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন কর্তৃক অনলাইনে শিক্ষামূলক কার্যক্রম যেমনঃ আর্থ আওয়ার, জাম্বুরি অন দা ইন্টারনেট, স্পেশাল জাম্বুরি অন দা এসএমএস, অনলাইন এসআরএম ও কাউন্সিল মিটিং, অনলাইন ক্রু-মিটিং, মুক্তপাঠ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোর্স ইত্যাদিতে অংশগ্রহন করেছি। করোনা ভাইরাস চলাকালিন এই লক ডাউনের সময় জবি রোভার স্কাউট গ্রুপের কোন সদস্যের পরিবারে আর্থিক সমস্যা হলে/অথবা ঢাকায় থাকাকালীন কোন সমস্যা হলে তাদের খোজ খবর নিতেছি। এছাড়াও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আতংকিত না হওয়া, সবসময় পরিষ্কার পরিছন্ন থাকা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে ভাল ভাবে ধুয়ে হাত পরিষ্কার রাখা, অবস্যই মাস্ক ব্যবহার করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, অযথা হাত মেলানো পরিহার করা ইত্যাদি সম্পর্কে আমার পরিবার ও আশেপাশের সবাইকে সচেতন করার চেষ্টা করতেছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমনঃ টাইমলাইন, মেসেঞ্জার, এসএমএস অথবা মোবাইলে কল করেও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতেছি।
সবাই ভালো থাকবেন। নিজে সচেতন থাকবেন, অন্যকেও সচেতন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। সবাই মিলে চেষ্টা করলে এই ভয়াবহ মহামারী থেকে আমরা নিশ্চয়ই পরিত্রান পাবো।
#StayHomeForABetterTomorrow
হোম কোয়ারান্টাইন সম্পর্কে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম জানান, "পুরো বিশ্বের জন্য বিরাট এক অভিশাপের নাম হল কভিড-১৯। রিপোর্ট অনুযায়ী দিন দিন মৃতের সংখ্যা বেরেই যাচ্ছে। আমাদের দেশের জন্যেও এই রিপোর্ট হুমকিস্বরূপ। আমাদের উচিত সাবধানে থাকা। নিজের জন্য দেশের জন্য সাবধানে থাকতে হবে। আমিও চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করার। এই বন্ধে আমি পরিবার কে সময় দিচ্ছি। আর নিজের সফট স্কিলগুলো ডেভেলপমেন্ট এর দিকে ফোকাস করছি। খুব রিসেন্ট আমি নিউইয়র্ক এর একটা কম্পানি থেকে আমার কোর্স রিলেটেড ভারচুয়াল ইন্টার্নিশিপ করা শুরু করেছি। আমি মনে করি সকলের উচিত এই বন্ধ কাজে লাগিয়ে নিজেদের সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট এ মনোযোগী হওয়া আর পরিবার কে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া এবং ইবাদত করা যেন আমরা অতি দ্রুত এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাই।"

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo