তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: ২০১৯ সালে ১৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.১% বেশি। গতবছর ইন্টারনেট সেবাখাত থেকে আয় বেড়েছে ১৭%। একই সময়ে ভয়েস থেকে আয় বেড়েছে ৮.৫%। এছাড়া ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে মোট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৪.২% বেশি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চতুর্থ প্রান্তিকে ৭ লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে। ২০১৯ সাল শেষে আগের বছররে তুলনায় ৫.১% প্রবৃদ্ধি নিয়ে মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৬৫ লাখ। মোট গ্রাহকের মধ্যে ৪ কোটি ৬লাখ বা ৫৩.১% গ্রামীণফোনের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারী। গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, রেগুলেটরি দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৯ সালে গ্রামীণফোন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে পার করেছে। নানা ধরনের বিধিনিষেধ আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত করেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করতে সক্ষম হয়েছি। পরিকল্পিত লক্ষ্য অনুযায়ী চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার। বছর শেষে আমাদের নেটওয়ার্কে ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। ইন্টারনেট সেবা খাতে এর ব্যবহার ও রাজস্ব অর্জন দুটি ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। মোবাইল সেবাখাতের উন্নয়ন ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান ধরে রাখতে সরকার ও খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে যেকোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে গ্রামীণফোন তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই বলে জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি। গ্রামীণফোন জানিয়েছে, ২৫.৪% মার্জিনসহ ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমান দাঁড়িয়েছে ৯২০ কোটি টাকা। শেষ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.৮১ টাকা।
মন্তব্য ( ০)