• লাইফস্টাইল

ঘুমের সমস্যায় যা করবেন, যা করবেন না

  • লাইফস্টাইল
  • ০৪ জানুয়ারী, ২০২০ ০৯:০০:০৮

সিএনআই ডেস্ক: সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ মানুষই অনিদ্রার ভোগে। ঘুমের সমস্যা স্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। অনিদ্রার কারণে ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ দেখা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ মানুষের অন্তত ছয় থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরী। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা: রাতে ভালো ঘুমের জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিৎ। আমরা জানি যে দিনে কোনোরকম কাজ-কর্ম বা শরীরের কোনো ব্যায়াম না করা হলে, রাতে মানুষ ক্লান্ত হয় না। এমনটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই দিনেরবেলায় নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে। ঘুমের ওষুধে অভ্যস্ত না হওয়া: ঘুমের সমস্যার কারণে অনেকে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খান। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পরের দিনেও শরীরে থেকে যায়। তাই যতটা সম্ভব ঘুমের ওষুধ এড়িয়ে চলতে হবে। না খাওয়াই ভালো। তবে বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। দুপুরে ঘুম নয়: অনেকের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। ফলে রাতে অনেক দেরি করে ঘুম আসে। তাই রাতে ভালো ঘুমের জন্য দুপুরে ঘুমের অভ্যাস বাদ দিতে হবে। দুপুরে না ঘুমালে স্বভাবিকভাবেই মানুষ রাতে একটু বেশি ক্লান্ত বোধ করে। তাই যাঁদের রাতে ঘুমাতে সমস্যা হয়, তাঁরা দিনেরবেলায় ঘুমানো উচিৎ না। বরং রাতে তাড়াতাড়ি বিছানায় যান, দেখবেন ঘুমও হবে। রাতের খাবার: ভালো ঘুমের জন্য রাতের খাবার হতে হবে অবশ্যই হালকা। তাছাড়া রাতে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় বা অ্যালকোহলকে দূরে রাখতে হবে। ঘুমের মধ্যে শরীরে যা ঘটে ঘুম যদি গভীর হয় মস্তিষ্ক সারাদিনের ক্লান্তি মুছে দিয়ে ওজন কমাতে পারে। যথেষ্ট ঘুম হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। নার্ভাস: মানুষ নার্ভাস হলে মস্তিষ্ক অস্থির হয়ে পড়ে। ফলে বিপাক প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন হতে পারে না। এতে করে শরীরে মেদ জমে। তাই চাপ বা স্ট্রেসকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা, ব্যায়াম করা এবং হাসিখুশি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ভালো ঘুমের জন্য যা করবেন: প্রতিদিন একই সময়ে বিছানায় যেতে হবে এবং সন্ধ্যায় খানিকটা হাঁটতে পারলে তা ঘুম আসতে সাহায্য করবে। তাছাড়া বিছানায় যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করলেই দেখবেন ঘুম আসতে আর দেরি হবে না। তাছাড়া ঘুমানোর আগে বিকেলের পর কফি, চকলেট অর্থাৎ ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার ও চা পান করা যাবে না। বিছানায় যাওয়ার আগে সব ধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অর্থাৎ মুঠোফোন, ট্যাব ইত্যাদি দূরে রাখা প্রয়োজন। রাতে ধূমপান করা, কোন ধরণের মাদক গ্রহণ করা যাবেনা।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo