• লাইফস্টাইল

ওজন কমানো নিয়ে যা ভাবছেন তা ভুল

  • লাইফস্টাইল
  • ০১ জানুয়ারী, ২০২০ ১৫:১৩:০৭

সিএনআই ডেস্ক: সৌন্দর্য সচেতন ব্যক্তিরা নিজেকে নির্মেদ রাখতে চান। শরীরের মেদ কম সময়ে ঝরাতে গিয়ে অনেকেই নানারকম অপচিকিৎসার দ্বারস্থ হন। সাধারণত, দেহের বিপাক হার বৃদ্ধি পেলে মেদ কমে। এই নিয়মটিকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত মেদ কমাতে যান অনেকে। কিন্তু বিপাক হার অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর চেষ্টা করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। বিপাক হার বাড়ানো নিয়ে মানুষের মধ্যে নানা ভুল ধারণা কাজ করে। গ্রিন টি বেশি খেলে ওজন কমবে  অনেকেই ভাবেন, মেদ কমাতে বেশি বেশি গ্রিন টি পান করা উচিত। এই ধারণা কিন্তু খুব একটা ঠিক নয়। গ্রিন টি পান করলে বিপাক হার বাড়লেও এ হার যে মেদ কমাবে তা নয়। দিনে দুই বারের বেশি গ্রিন টি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। কার্ডিও এক্সারসাইজ করলে দ্রুত ওজন কমবে অনেকে মনে করেন, কার্ডিও এক্সারসাইজের সঙ্গে বিপাক হারের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই দুই বিষয়ে তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। দৌড়ানো, সাঁতার, জগিং, সাইক্লিংয়ের মতো কার্ডিও এক্সারসাইজের ফলে ওজন কমে ঠিকই কিন্তু এর সঙ্গে বিপাক হার বাড়া-কমার কোনো সম্পর্ক নেই। বিপাক হার বাড়াতে অতিরিক্ত কার্ডিও এক্সারসাইজ করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় এবং নানারকম জটিলতা দেখা দেয়। আর এজন্যই অনেক সময় নিয়ম মেনে ডায়েট ও ব্যায়াম করার পরও ওজন ঠিকমতো কমে না। কম খেলেই বাড়বে বিপাক হার ওজন কমানো কিংবা বিপাক হার বাড়ানো, কোনো ক্ষেত্রেই কম খাওয়া বিজ্ঞানসম্মত উপায় নয়। বরং প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর একটু একটু করে খাবার খেতে হবে। এমন খাবার নির্বাচিত করতে হবে যেন পেটে হালকা জায়গা থাকলেও মোটামুটি ভরা লাগে। কম খেলে শারীরিক ক্লান্তি, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় এটি মেদের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেয়। নারী পুরুষের বিপাক হার সমান সমওজনের নারী ও পুরুষের বিপাক হার মোটেও এক হবে না। মূলত বিপাক হার নির্ভর করে পেশির গঠন, শারীরিক কাঠামো ইত্যাদির ওপর। ঘুম, ক্যালোরি গ্রহণ ইত্যাদির ওপরও বিপাক হার অনেকটা নির্ভরশীল। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, কোন উপায়ে মেটাবলিজম বাড়বে সেটি জানা জরুরি। ঠিক তেমনই কোন কাজটি অতিরিক্ত করলে শরীরের ক্ষতি হবে সেটাও বোঝা উচিত। সব বুঝে ডায়েট করলেই ওজন কমবে আর সুস্থ থাকবেন আপনি।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo