• অপরাধ ও দুর্নীতি

হামলার নির্দেশ দিয়ে আইএস নেতা বাগদাদির নতুন বার্তা প্রকাশ

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১০:৫৬:৫৫

দীর্ঘ বিরতির পর আবারও প্রকাশিত হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদির নতুন একটি অডিও বার্তা। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) 'আল-ফুরকান' নামে আইএস নেতৃত্বাধীন একটি মিডিয়া নেটওয়ার্ক ৩০ মিনিটের সেই অডিও বার্তাটি প্রকাশ করে। যেখানে অঞ্চলটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দিরত অবস্থায় সংগঠনটির যোদ্ধা ও নারীদের মুক্ত করে দিতে অনুসারীদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা ও হামলা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়। এর আগে ২০১৪ সালে ইরাক ও সিরিয়ার বেশকিছু অংশ দখলের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমদের শাসক হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন বাগদাদি। মূলত এর পর থেকেই মার্কিন প্রশাসনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই সংগঠনটিকে দমনের নামে অভিযান শুরু করে। যেখানে সেনা-জঙ্গিসহ হাজারো বেসামরিকের মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, আইএসের স্বঘোষিত খিলাফতের পতনের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি ইরাক-সিরিয়া সীমান্তের কোনো এক অঞ্চলে আত্মগোপনে আছেন। দীর্ঘদিন যাবত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা এই আইএস নেতা ২০১৪ সালে মাত্র একবারই নিজের ছবি তুলতে দিয়েছিলেন। এ দিকে ২০১৭ সালের জুন মাসের মাঝামাঝিতে আইএস নেতা বাগদাদির মৃত্যু হয়েছে দাবি করেছিলেন রাশিয়ার কর্মকর্তারা। যদিও এর প্রায় বছর খানেক পর এক অডিও বার্তায় বাগদাদি জানিয়েছিলেন তিনি এখনো বেঁচে আছেন। মূলত এর পর থেকে তার আর কোনো বার্তা সামনে আসেনি। পরবর্তীতে চলতি বছরের এপ্রিলে মাত্র ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছিলেন তিনি। অপর দিকে গত সোমবার প্রকাশিত নতুন অডিও বার্তা আইএস বিভিন্ন দেশে হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন বাগদাদি। অনুসারীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'একজন মুসলমান কেমন করে সঠিক জীবন যাপন করতে পারে; যখন ক্রসেডার আর তাদের শিয়া অনুসারীরা অবমাননার কারাগারে নারীদের আটকে রাখে।' অডিও বার্তায় আইএস সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদকারী ও বিচারকদের ওপরও হামলা চালানোর নির্দেশ দেন বাগদাদি। তাছাড়া বর্তমানে কারাগার ও বন্দিশিবিরগুলোতে আটক অবস্থায় থাকা অনুসারীদের আরও ধৈর্যশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাখেহ প্রদেশের একটি শিবিরে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৭৩ হাজারের অধিক লোককে আটক রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে অধিকাংশ আইএস যোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য। তাছাড়া সিরিয়া এবং ইরাকের বহু কারাগারে অসংখ্য আইএস জঙ্গিদের বন্দি করে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo