ছবিঃ সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে একটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করা চীনা প্রকৌশলীদের গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে পাঁচ চীনা নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি গাড়িচালক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে চীনা সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও ব্যক্তিদের ওপর তৃতীয় বড় হামলা এটি। প্রথম দুটি হামলা দেশটির একটি নৌ বিমান ঘাঁটি এবং বেলুচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রদেশে চীনের ব্যবহৃত গোয়াদর বন্দরকে লক্ষ্য করে। যেখানে বেইজিং অবকাঠামো প্রকল্পে বিলিয়ন বিলিয়ন বিনিয়োগ করছে।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আলী গান্ডাপুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে চীনা প্রকৌশলীরা ইসলামাবাদ থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দাসুতে বাঁধ নির্মাণের এলাকায় তাদের ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন, পথে শাংলা জেলার বিশাম এলাকায় পৌঁছালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
রয়টার্সকে গান্ডাপুর বলেন, ‘হামলায় পাঁচ চীনা নাগরিক ও তাদের পাকিস্তানি ড্রাইভার নিহত হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ২০২১ সালে দাসু বাঁধ এলাকায় একটি বাসে একটি বিস্ফোরণে নয়জন চীনা নাগরিকসহ ১৩ জন নিহত হয়েছিল।
মঙ্গলবারের হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে চলতি মাসের আগের দুটি হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)-এর মাজিদ ব্রিগেড। মাজিদ ব্রিগেড বেলুচিস্তানে চীনের বিনিয়োগের সমালোচনা করে এবং চীন ও পাকিস্তান উভয়কেই এই অঞ্চলের সম্পদ শোষণের অভিযোগ করে।
প্রসঙ্গত, চীনের প্রকৌশলীরা পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করছেন। যেখানে বেইজিংয়ের বৃহত্তর বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে চায়না পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)-এর অংশ হিসেবে অবকাঠামোগত কাজে ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
এদিকে এই হামলার তদন্ত দাবি করে পাকিস্তানে চীনের দূতাবাস বলেছে, ‘পাকিস্তানে চীনা দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলো অবিলম্বে জরুরি কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করি পাকিস্তানি পক্ষ এই হামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে, অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দেবে এবং চীনা নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য বাস্তব ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
হামলার পর মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ চীনা দূতাবাসে গিয়ে নিহতদের পরিবার ও চীনা সরকারের প্রতি সমবেদনা জানান।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে তিনটি হামলার লক্ষ্য ছিল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা এবং পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল প্রকল্প সাইটগুলোতে নাশকতা ছাড়ানো। যাতে পাকিস্তান এবং তার মিত্রদের মধ্যে বিশেষ করে চীনের মধ্যে বিভেদ বপন করার যায়।
বিনোদন ডেস্কঃ মুক্তির এখনো চার মাস বাকি আল্লু অর্জুন অভিন...
স্পোর্টস ডেস্কঃ এতদিন শাহরুখ খান আর প্রীতি জিনতার জন্য &l...
নিউজ ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদনহীন ১৯টি দোকা...
নিউজ ডেস্কঃ বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, ক্...
মন্তব্য ( ০)