• বিশেষ প্রতিবেদন

সাবরাং ট্যুরিজম পার্কের উপকূলী ঝাউবাগান সাবাড় : রহস্যজনক নির্বিকার সংশ্লিষ্টরা 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:৪৮:০৭

ছবিঃ সিএনআই

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার : টেকনাফের সাবরাং এক্সক্লুসিভ  ট্যুরিজম পার্কের অভ্যান্তরের ঝাউবাগানের শত শত গাছ  কেটে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। দিনের পর দিন এসব গাছ কাটা হলেও দায় নিতে নন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি সরেজমিন ঘটনা স্হলে গিয়ে দেখা বাগান থেকে ঝাউগাছ কাটার এই ভয়াবহ চিত্র। 

জানা যায়, সরকার এক হাজার ৪৭ একর জমি নিয়ে টেকনাফের সাবরাং একাকায় মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে এখানে এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম পার্ক হিসেবে গড়া তোলার কাজ শুরু করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ (BEZA)। ইতিমধ্যে এখানে অফিস,  মাটি ভরাট ও কিছু রাস্তাও তৈরির পাশাপাশি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর এই ইকোনমিক জোনে উপকূলীয় বন বিভাগের লাগানো বেশ কিছু ঝাউ গাছের বাগান আকর্ষণ ধরে রেখেছে এলাকাটির। সম্প্রতি ওই এলাকায় ঝাউ গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। ঝাউগাছের শত শত কাটা গোড়ার অংশ জানান দিচ্ছে উপকূলী বাগান সাবাড় করার। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন এক্সক্লুসিভ জোনে গিয়ে দেখা যায়,  ঝাউ গাছের বাগান সাবাড় হয়ে গেছে। এখনো চিহ্ন হিসেবে কিছু গাছের গোড়া বিদ্যমান আছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দাবি করেছে, এক্সক্লুসিভ জোনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও গার্ড মিলে মাটি ভরাটের ফাঁকে কৌশলে ঝাউগাছ গুলো বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। 

 এ বিষয়ে কথা হয় সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে কর্মরত সাইট সহকারী প্রকৌশলী মো: নাবিউল এর সাথে। 

তিনি বলেন, "অফিস টাইমে এখানে কর্মকর্তা বা লোকজন থাকেন। সাপ্তাহিক ছুটির সময় ৩ জন সিকিউরিটি স্টাফ থাকেন। ছুটির ফাঁকে হয়তো স্হানীয় লোকজন এই ঝাউগাছ কেটে নিয়ে যায়। "

এ বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর দেননি এই কর্মকর্তা। 

টেকনাফ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলহাজ্ব ছৈয়দ হোছাইন বলেন,"উপকূলী সবুজ বেষ্টনী এই ঝাউবাগান প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রতিরোধী ঢাল হিসেবে কাজ করে। এসব সাবাড় করা মানেই উপকূল ধ্বংস করা। "

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo