• খেলাধুলা

শান্তর মতোই ব্যাটার খুঁজছিলেন শ্রীরাম

  • খেলাধুলা
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:১০:৪৪

ছবিঃ সংগৃহীত

স্পোর্টস ডেস্কঃ অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঠাঁই না হলেও ডাক পেয়েছেন মাত্র ৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা নাজমুল হোসেন শান্ত। তার স্ট্রাইকরেট ১০৪.২২, টি-টোয়েন্টির জন্য যা আদর্শ নয়। তাছাড়া এই ৯ ম্যাচে একটি ফিফটিও নেই শান্তর। ওয়ানডাউনে নামা এ বাটারের এখন পর্যন্ত  ক্যারিয়ারসেরা রান ৪০। 

অন্যদিকে টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার।  এখন পর্যন্ত ১২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ ২১২২ রান। এতে ফিফটি রয়েছে ৬টি।  স্ট্রাইকরেটও শান্তর চেয়ে কিঞ্চিত বেশি ১১৭.৩০।

এরপরও নির্বাচকদের পছন্দ নাজমুল হোসেন শান্ত। 

কারণ দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের দর্শন, অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স বিচার্য নয়; প্রতিপক্ষের উপর প্রভাব বিস্তার করে খেলাটাই মূখ্য।  আর প্রভাব বিস্তার করে খেলার বিষয়টি নাকি শান্তর কাছে পেয়েছেন তিনি। শান্তর মতোই ব্যাটার খুঁজছিলেন শ্রীরাম। শান্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি।

বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে শ্রীরাম বলেন, ‘আমি যেটা খুঁজছি, সেটা হলো ইমপ্যাক্ট। আমি এখন পারফরম্যান্স খুঁজছি না। বাংলাদেশ যেমন দল, তাতে ৭-৮ জন ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারলেও জিতে যাবে। তো ১৭-১৮ বলে ২৫-৩০ রান করতে পারলে সেটিই আমার জন্য ইমপ্যাক্ট।’ যে ইমপ্যাক্ট খুঁজছিলেন, সেটি শান্তর মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন শ্রীরাম।

শান্তর প্রশংসায় টেকনিক্যাল পরামর্শক বলেন, ‘আমি মনে করি শান্ত অনেক ভালো খেলোয়াড়।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় টেম্পারমেন্ট ওর আছে। আমি ওর ব্যাটিং করতে দেখেছি; আমার মনে হয়েছে ওর সেই টেম্পারমেন্ট আছে।  বাউন্সি উইকেটে খেলার মতো সামর্থ্য ওর রয়েছে। সে হরিজন্টাল শট খেলতে পারে। আমার মনে হয়, আমরা যে ইমপ্যাক্ট খুঁজছি সেটি ওর মধ্যে রয়েছে।’

উল্লেখ্য, বিপিএলে চারটি দলের হয়ে ৫৬ ম্যাচ খেলা শান্ত এক সেঞ্চুরি ও দুই ফিফটিতে করেছেন ১০২১ রান। গড় ২২.১৯, স্ট্রাইক রেট ১১৫.৪৯। সর্বোচ্চ খুলনা টাইগার্সের হয়ে অপরাজিত ১১৫।   বিপিএলের শান্তকে অবশ্য কখনোই পাওয়া যায়নি আন্তর্জাতিকে।

গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে শান্ত করেন মোটে ৫২ রান।  বিবর্ণ এই পারফরম্যান্সে জায়গা হয়নি আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরের দুটি সিরিজে। 

এর পর জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচে করেন ৭২ রান। প্রথম ম্যাচে ২৫ বলে করেন ৩৭, ৯ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে যা তার সবচেয়ে আগ্রাসী ইনিংস। পরের দুই ম্যাচে ২১ বলে করেন অপরাজিত ১৯ এবং ২০ বলে ১৬।  

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo