• অপরাধ ও দুর্নীতি

টাঙ্গাইলে পিবিআই কর্তৃক ক্লু-লেস মামলার রহস্য উদঘাটন

  • অপরাধ ও দুর্নীতি
  • ০৪ জুলাই, ২০২২ ১৭:৩৪:৪৪

ছবিঃ সিএনআই

রাশেদ খান,টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে  চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস মামলা পুত্রের হাতে পিতা খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ৪ জুলাই সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন প্রেস বিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানান। আসামী ২ জন হলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানাধীন দেওভোগ দক্ষিণ পাড়া গ্রামের খুন হওয়া হযরত আলীর পুত্র জেল হাজতে থাকা জাহাঙ্গীর মোল্লা ও গ্রেপ্তারকৃত আসামি দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে আসিফ(১৮)। 

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন এর নির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি এবং বিভিন্ন উৎস হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবীর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. ফরহাদ হোসেন এর নের্তৃত্বে পিবিআই টিম  এ রহস্য উদঘাটন করে। 

ঘটনায় জড়িত ও ঘটনার পর থেকেই পলাতক আসামির অবস্থান শনাক্ত করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন আসামি দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের ছেলে আসিফ (১৮)কে তার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। আসিফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনা স্বীকার করে জানায়, তার বড় মামা হাজতী আসামি জাহাঙ্গীর মোল্লা নিজ পিতাকে অর্থাৎ তার নানাকে হত্যার পর দুইজন যৌথভাবে লাশ গুম করে। জাহাঙ্গীর মোল্লা ও তার পিতা হযরত আলীর মধ্যে কিছুদিন যাবৎ সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। ২২-০২-২১ তারিখ সকালে আসিফ তার নানা হযরত আলীর বাড়িতে যায়। ঐদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হযরত আলী, ছেলে জাহাঙ্গীর ও নাতি আসিফ ঘটনাস্থল পুকুর পাড়ে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার এক পর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা মত জাহাঙ্গীর তার হাতে থাকা কাঠের লাঠি দিয়ে তার পিতা হযরত আলীকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য ভাগিনা আসিফকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। এরপর মামা ভাগিনা দুজনে মিলে পানির মধ্যে থাকা কচুরিপানার নিচে লাশ গুম করে। তারা দুজনে মিলে মাটিতে পড়ে থাকা মৃত হযরত আলীর রক্ত পানি ও কাদা দিয়ে লেপে ধুয়ে পরিষ্কার করে। রাত আনুমানিক ১২ টা৩০ মিনিটে তারা দুজনে বাড়ি চলে আসে। এর কিছুদিন পর হযরত আলীর লাশ পুকুর হতে উদ্ধার হলেও গ্রেফতারকৃত আসামি আসিফ তার নানাকে দেখতে আসেনি। গ্রেফতারকৃত আসামি আসিফ ঘটনার পর হতে পালাতক ছিলো। সে নারায়ণগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে  আত্মগোপনে ছিল।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা পিবিআই এর কাছে স্বীকার করেছে আসিফ। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পিবিআই।

প্রেস ব্রিফিংয়ে  উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন, পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী, পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার আশরাফুল কবীর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. ফরহাদ হোসেন।

উল্লেখ্য এ বিষয়ে মির্জাপুর থানায় ০৩-০৩-২১ তারিখে পেনাল কোড ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়। মামলা নং ০৩/২১।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo