• কূটনৈতিক সংবাদ

জার্মানি-ইউক্রেন কূটনৈতিক সংঘাত নিয়ে জটিলতা

  • কূটনৈতিক সংবাদ
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৫৬:৩৯

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্কঃ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে জার্মান প্রেসিডেন্টের সম্ভাব্য সফর বাতিল হওয়ায় জার্মানি ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক স্তরে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের কিয়েভ সফরের সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে পড়ছে।

রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেন যখন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক, অর্থনৈতিক ও নৈতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ঠিক তখনই জার্মানির মতো দেশের সঙ্গে কিয়েভের কূটনৈতিক সংঘাতের বিষয়েও তর্ক-বিতর্ক জোরালো হচ্ছে।

জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার কিয়েভ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করলেও সেখানে তিনি নিজেকে ‘অবাঞ্ছিত’ বলে দাবি করেছেন। ফলে পোল্যান্ড ও বাল্টিক অঞ্চলের তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তিনি কিয়েভ সফরে যেতে পারেননি।

জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি এমন ‘অবজ্ঞা’ নিয়ে দলমত নির্বিশেষে জার্মান রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এমন আচরণকে জার্মানির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বিষয়টিকে ‘কিছুটা বিরক্তিকর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

শলৎসের মতে, স্টাইনমায়ার কিয়েভ সফরে আগ্রহী ছিলেন। তাকে সেখানে স্বাগত জানালে ভালো হতো। তবে শলৎস এখনই কিয়েভ সফরের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এছাড়া জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবকও জার্মান প্রেসিডেন্টের কিয়েভ সফর বাতিল হওয়ার বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেন না। ভাইস চ্যান্সেলর রোব্যার্ট হাবেক বলেন, জার্মান প্রেসিডেন্টই জার্মানি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে জার্মানিকেই অবাঞ্ছিত হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেছেন, বার্লিন থেকে জার্মান প্রেসিডেন্টের কিয়েভ সফর সম্পর্কে আদৌ কোনো বার্তা আসেনি। বুধবার তিনি পোল্যান্ড, লাটভিয়া, লিথুয়েনিয়া ও এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্টদের স্বাগত জানানোর পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন। পোল্যান্ড অবশ্য এই যৌথ সফর আয়োজন করেছে বলে জানিয়েছে।

জার্মানির কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী যথেষ্ট সহায়তা না পেয়ে জেলেনস্কির সরকার বার বার হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রতি জার্মানির ‘অতি নরম’ মনোভাব দেখানোর অভিযোগ করছে ইউক্রেন।

কিয়েভ সরকারের মতে, রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর জন্য যথেষ্ট দ্রুত প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করতে ব্যর্থ হচ্ছে জার্মানি। এমন অবস্থায় জার্মান প্রেসিডেন্টের মতো আলংকারিক পদমর্যাদার প্রতিনিধির বদলে সরকার প্রধান হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলরের কিয়েভ আসা উচিত বলে ইউক্রেন সরকার ইঙ্গিত দিয়েছে।

সেক্ষেত্রে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস খালি হাতে নয়, বরং যথেষ্ট সহায়তা সঙ্গে নিয়ে আসবেন বলে কিয়েভ আশা করছে। জেলেনস্কির উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ এমন দ্রুত ও স্পষ্ট সিদ্ধান্তের আশা প্রকাশ করেছেন।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo