ছবিঃ সিএনআই
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার চাটমোহরে বাগানে বাগানে লিচু গাছে ব্যাপকহারে গুটি এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লিচু বাগানের বিস্তার ঘটেছে। ক্রমেই চাষীরা লিচু চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে।
মাঘের শেষ সময়ে লিচুগাছে মুকুল আসতে শুরু করে। এবার মৌসুমের শুরুতে শীতের প্রকোপ কম থাকা এবং শেষ সময়ে শীত পড়ায় পাবনার চাটমোহরে লিচু গাছে মুকুল এসেছে দেরিতে।
লিচু চাষীরা এখন লিচু বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। এবার বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন চাষীরা। লিচু গ্রাম বলে খ্যাত উপজেলার গুনাইগাছা, রামচন্দ্রপুর, মন্ডলপাড়া, বড় শালিখাসহ আশপাশের গ্রামের বাগানগুলো লিচুর গাছে গাছে এখন ফল এসেছে। এছাড়াও উপজেলার হরিপুর, ধরইল, বোঁথর, মথুরাপুর, খয়েরবাড়িয়াসহ অন্যন্য এলাকার গাছগুলোতেও ব্যাপকহারে লিচু এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত মৌসুমের মতোই লিচুতে লাভবান হবেন কৃষকেরা। এবার লিচুর হার্ভেস্টিং সময় আর ঈদুল ফিতর কাছাকাছি সময়ে পড়বে। সবকিছু ঠিক থাকলে রমজান মাসের শেষ ভাগে ইফতারিতে দেখা মিলবে টসটসে রসালো লিচুর। তবে চৈত্রের তাপদাহে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। কারণ বৃষ্টির দেখা মিলছেনা।
লিচুর গ্রাম বলে খ্যাতি চাটমোহরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের চাষী মাহাতাব হোসেন জানান, প্রতিটি গাছেই লিচু এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে,ভালো ফলন হবে। এ উপজেলায় চাষ হয় চায়না থ্রি, বোম্বাই, কাঁঠালি ও স্থানীয় জাতের লিচু। উপজেলার সব এলাকায় কমবেশি লিচুর চাষ হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানান, চাটমোহরে ২ হাজার হেক্টরের মতো জমিতে লিচুবাগান রয়েছে। এছাড়া বসতবাড়ির উঠানসহ বাড়ির আশপাশেও অনেক লিচু গাছ আছে।
বাগান মালিকেরা জানান, গত বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এ অঞ্চলে প্রায় ৩ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, মুকুল থেকে গুটি হতে শুরু করেছে। এখন হপার পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে একবার বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে। লিচুর ফলন ভালো হবে বলে তাঁর অভিমত।
নড়াইল প্রতিনিধঃ আজ ২৫ এপ্রিল ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) নড়...
গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ...
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের ৬ দিন মে...
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতদের হামলা...
মন্তব্য ( ০)