• বিশেষ প্রতিবেদন

শেরপুরে এবার গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ১৫:৩৩:৪৮

ছবিঃ সিএনআই

শেরপুর প্রতিনিধিঃ চলতি বছর শেরপুরে গমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। গম লাভজনক ফসল হওয়ায় ধানের পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে এ ফসল উৎপাদন করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা। শেরপুরে ধানের পাশাপাশি প্রতিবছর বাড়ছে গম চাষ। উৎপাদন ও খাদ্যের দিক দিয়ে দানা ফসল হিসেবে গমের অবস্থান দ্বিতীয়। অর্থাৎ ধানের পরেই গমের অবস্থান। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় গম আবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। 

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গম চাষে কৃষকদের উদ্বুুদ্ধ করতে প্রণোদোনা হিসেবে জেলার প্রায় আড়াই হাজার কৃষককে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। এদিকে, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনায় চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাছাড়া গমের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আলু চাষ করায় কৃষকরা দ্বিগুন লাভের আশা করছেন। বাণিজ্যিকভাবে গম উৎপাদনে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। চলতি বছর জেলায় ১ হাজার ৪শ ৮২ একর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন।

সরেজমিনে গেলে কথা হয় কৃষক হাতেম আলীর সাথে। তিনি জানান, ‘ধানের চেয়ে গম লাভজনক। তা ছাড়া গম কেটে পাট চাষ করতে পারব। এবার ৩ বিঘা জমিতে গমচাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এবার প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ গম উৎপাদন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে এবং বাজারদর ভালো থাকলে গতবারের মতো এবারও ভালো দাম পাব।’

সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের কৃষক আজাহার আলী জানান, এ বছর বাজারে গমের দাম আশানুরূপ হওয়ায় বাম্পার ফলনে তারা লাভের আশা করছেন। এছাড়া কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগের কাছ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছেন, এটা তাদের জন্য বাড়তি জোগান। আরেক কৃষক হাসেম আলী জানান, এ বছর তিনি ১১২ শতাংশ জমিতে গম চাষ করেছেন। এতে মোট খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। সাগরদিঘী ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের মাধ্যমে কৃষি বিভাগ থেকে বীজ ও সার পাওয়ায় উৎপাদন খরচও কম হয়েছে। অবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তার ১১২ শতাংশ জমিতে ২৫-২৬ মণ গম উৎপাদন হবে এবং ২৮-৩০ হাজার টাকার গম বিক্রি করতে পারবেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহিত কুমার দে বলেন, ‘রবি ফসলের মধ্যে গম একটি লাভজনক আবাদ। এ কারণে জেলার কৃষকেরা গম চাষে ঝুঁকেছেন।’ এপ্রিলের শুরুতে কৃষকেরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গম চাষে আগ্রহী করতে তালিকাভুক্ত চাষিদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চফলনশীল উন্নত জাতের বারি-৩৩ গমবীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। 

 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo