• বিশেষ প্রতিবেদন

রামগড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার, দুর্ঘটনার আশংকা 

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ০৩ জানুয়ারী, ২০২২ ১১:৪৬:২৮

ছবিঃ সিএনআই

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ির রামগড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। অভিজ্ঞতা ও লাইসেন্সবিহীন এসব এলফি গ্যাস বিক্রির নিয়ম না থাকলেও পৌর শহরের অলিগলিতে প্রায় সব দোকানের সামনে বিক্রি হচ্ছে এসব এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। ফলে যে কোন সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের দুর্ঘটনা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। নিয়ম বর্হিভূতভাবে এসব গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র বিক্রি হলেও প্রশাসনের নেই কোন নজরদারি কিংবা বিধি নিষেধ। 

রামগড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরো রামগড়ে বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে ৩টি। অথচ রামগড় বাজারের ভেতরে গলি,  সিনেমাহল বাজার, কালাডেবা এবং সোনাইপুল, খাগড়াবিল, নাকাপা সহ উপজেলার সবকটি বাজারে অন্তত ৫০-৬০ টি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরকারি নীতিমালা না মেনে সার দোকান, মুদি দোকান, চা দোকান, হাডওয়ার দোকান এবং প্রকাশ্যে রাস্তার পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।  নেই  এসব বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার।

বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জ্বালানি অধিদফতরের লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র,পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স এবং অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার অবশ্যই থাকতে হবে। আলো বাতাস পূর্ণ ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি এবং সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির অনুমতি মিলবে। 

২০০৩ সালের দাহ্য পদার্থ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি লাইসেন্স না নিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্যের ব্যবসা করে তবে তার তিন বছরের কারাদণ্ড ও অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। প্রয়োজনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমস্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত করা যাবে। 

মেসার্স এ.কে.বি এন্টারপ্রাইজের ব্যবসায়ী পারেসুল ইসলাম বলেন, শুধু মাত্র তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির পরিপূর্ণ লাইসেন্স রয়েছে। এর মাঝে দুইজন এখন ব্যবসা করেনা। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স করে ব্যবসা করছি। অথচ যত্রতত্র রাস্তার পাশে এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকান গড়ে উঠেছে।অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ব্যবসার প্রসার ঘটছে। দোকানদাররা বেশিরভাগই বিস্ফোরক পরিদফতরের লাইসেন্স নেননি।

রামগড় বাজারের বাসিন্দা হুমায়ন শরীফ জানান,প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে অনেক মানুষের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটে। রাস্তার পাশে চা দোকান গুলোতে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। সচেতনতা অবলম্বন করলেই এসব দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেত সাধারন মানুষ।

রামগড় ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো:ইফতেখার উদ্দীন বলেন,বেশির ভাগ দোকানেই অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনপত্র নেয়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছাড়া এব্যবসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি আরো বলেন,উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

রামগড় উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)  উম্মে হাবিবা মজুমদার বলেন, যত্রতত্র সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।খুব দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo