ছবিঃ সিএনআই
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: প্রায় ৪৯ দিন পর লঞ্চ চলাচলের মধ্য দিয়ে চালু হয়েছে ঢাকা নদী বন্দর সদরঘাট। কিন্তু সেখানে নেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে দীর্ঘদিন পর লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে লঞ্চের মালিক, শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রী সাধারণের মাঝে। লঞ্চ চালু হওয়ায় খুশি শ্রমিক-কর্মচারীরাও।
লঞ্চে কর্মরত অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ পরবর্তী ঢাকা থেকে যাত্রী অন্য সময়ও কম থাকে। তবে তারা আশা করছেন ঢাকায় ফেরার পথে আশানূরুপ যাত্রী পাবেন।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়েও যাত্রীদের তেমন ভীড় দেখা যায়নি। যাত্রীদের লঞ্চে উঠার জন্য তোড়জোড় থাকলেও নেই যাত্রী টানার হিড়িক। তবে লঞ্চের ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, অনেকেই ডেকে কাপড় বিছিয়ে শুয়ে পড়ছেন। কেউবা আছেন বসে।
তবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী যে ধরনের স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা বলা হয়েছিল তা মানছেন না যাত্রীরা। দেখা যায়, অধিকাংশ যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্য বিধি মানার জন্য নেই কোন বাধ্যবাধকতা।
মাস্ক কেনো পড়েননি জানতে চাইলে ভোলাগামী মো. সিয়াম বলেন, আজ ঢাকায় অনেক গরম। গরমে মাস্ক ভিজে গেছে তাই খুলে রেখেছি। শুকালে আবার পড়ব।বরিশাল গামী রইজ উদ্দীন বলেন, সকলের মাস্ক নিশ্চিত করেই লঞ্চে উঠা উচিত। কিন্তু তেমন কেউই সে নির্দেশনা মানছেন না।
পূবালী-১ এর স্টাফ রহমত উল্লাহ বলেন, প্রথম দু তিন দিন ঢাকা থেকে যাত্রীর চাপ কমই থাকবে। তবে ঢাকায় ফেরার সময় যাত্রী বেশি হবে। কারণ পরিবার নিয়ে সবাই গ্রামে গেছে। এখন ঢাকা ফেরার পালা।
মর্নিংসান লঞ্চের ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দীন বলেন, আমরা টিকেট বিক্রির ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি রাখছি এবং যাত্রী কোনভাবেই যাতে ৫০ শতাংশের বেশি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখছি।
তাসরিক-৩ এর কর্মকতা শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই যাত্রা শুরু করব। মাস্ক ছাড়া টিকেট বিক্রি করছি না।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, সদরঘাট নৌ রুটে চলাচলকারী ২০৫ টি লঞ্চ ও তাদের মালিকদের কে আমরা সরকারি নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছি। মাস্ক ছাড়া লঞ্চ যাত্রা করা যাবে না। লঞ্চে যাতে কেউ অর্ধেকের বেশি যাত্রী নিতে না পারে সেটি তদারকি করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি ঠিক মতো পালন করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টি পর্যক্ষেণ করার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ৬ এপ্রিল থেকে দেশের সব দূরপাল্লার বাস, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দীর্ঘদিন মালিক-শ্রমিকরা লঞ্চ ও গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশেষে গতকাল এসব যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয় সরকার।
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন পুলিশ কর...
স্পোর্টস ডেস্কঃ সবার জানা, এবারের জিম্বাবুয়ে আগের যে কোন ...
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামে বিম...
নিউজ ডেস্কঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাজধানী ঢাকায় রাশ...
মন্তব্য ( ০)