ছবিঃ সিএনআই
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ চরাঞ্চলের বাদাম, ভূট্টার ঘ্রন’-এই হচ্ছে হাতীবান্ধার প্রাণ। তিস্তার ধূ-ধূ বালুচরে চলতি মৌসুমে বাদামে ভরে উঠেছে এবং বাম্পার ফলনও দেখা দিয়েছে। বাদামসহ নানাবিধ ফসলে যেন তিস্তার চরাঞ্চলকে সবুজের আবরণে ঢেকে গেছে। জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবারগুলো পুনরায় চরে ফিরে এসে চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে।
দীর্ঘদিন পর নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া জমির ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান,গড্ডিমারী,সিংগীমারী, সিন্দূর্ণা ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরাঞ্চলের হাজারও একর জমিতে এখন চাষাবাদ করা হচ্ছে নানাবিধ প্রজাতির ফসল। বিশেষ করে তোষাপাট, ভুট্টা, আলু, বেগুন, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, টমেটো, বাদাম,, তরমুজ, তামাক, কুমড়াসহ বিভিন্ন শাকসবজি।কথা হয় গড্ডিমারী ইউনিয়নের শহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, এ বছর বাদামের আবাদ ও ফলন ভাল হয়েছে। তিনি নিজে ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হতে ৯ মন বাদাম পাওয়া যায়। স্বল্প খরচে অধিক লাভের আশায় চরের কৃষকরা এখন বাদাম চাষে ঝুকে পড়েছে। তিনি বলেন, বাদামের দামও এখন ভাল। চার বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ৪৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল জানান, চরাঞ্চলের জমিতে এখন ভাল ফলন হয়। সে কারণে চরের মানুষ এখন অনেক খুশি।হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ ওমর ফারুক জানান, পলি জমে থাকার ফলে চরের জমি অনেক উর্বর। যার কারণে যে কোন প্রকার ফসলের ফলন ভাল হয়। তিনি বলেন, চরের কৃষকেরা নিজের পরিজন নিয়ে জমিতে কাজ করে। তাই তারা অনেক লাভবান। চরের জমিগুলো ভুট্টা ও বাদাম চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনার ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অঞ...
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজ...
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ প্রায় দেড় মাস আগে সোন...
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দ...
মন্তব্য ( ০)