নিউজ ডেস্কঃ দেশে ফেরার পর প্রথমবারের মতো বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে অফিস করলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ (রোববার, ২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অফিস কার্যক্রম শুরু করেন।
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানের গাড়ি গুলশান অ্যাভেনিউয়ের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে। তিনি গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে কার্যালয়ে আসেন। এর আগে থেকেই তারেক রহমানের জন্য কার্যালয়ে আলাদা একটি চেম্বার প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল।
এটি গুলশান কার্যালয়ে তারেক রহমানের প্রথম উপস্থিতি। কারণ এক–এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য গুলশানের এই কার্যালয় চালু করা হয়।
কার্যালয়ে পৌঁছালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা এবং বগুড়া জেলা বিএনপির নেতারা। শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তারেক রহমান দোতলায় নিজস্ব চেম্বারে গিয়ে বসেন।
এদিকে, নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বার প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরেরও পৃথক চেম্বার রয়েছে। পাশাপাশি গুলশানে আরও একটি বাসা ভাড়া নেয়া হয়েছে, যেখান থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
দেড় যুগের বেশি সময় যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় ফেরেন তারেক রহমান। দেশে ফেরার পর থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। প্রথম দিন সংবর্ধনা ও বক্তব্য শেষে মা খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাসায় অবস্থান নেন।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর তার স্ত্রী খালেদা জিয়াকে গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কয়েক মাস আগে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজউক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু বাড়িটির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই বাড়ির পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাসায় বর্তমানে বসবাস করছেন খালেদা জিয়া।
পরদিন শুক্রবার বিকেলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। একই দিন সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।
শনিবার সকালে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। সেখানে মোনাজাত শেষে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এরপর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে গিয়ে আঙুলের ছাপ, আইরিস স্ক্যান ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে গিয়ে ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেন। পাশাপাশি বনানী সামরিক কবরস্থানে শ্বশুর সাবেক নৌপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান এবং পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরেও শ্রদ্ধা জানান তিনি।
মন্তব্য (০)