ছবিঃ সংগৃহীত
নিউজ ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চাইলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চলমান সংঘাত খুব দ্রুত ‘সমাধান’ করতে পারবেন। রবিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ‘অসাধারণ মানুষ’ বলে প্রশংসা করেন।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখন প্রতি মাসে একটি করে যুদ্ধের অবসান ঘটাচ্ছি। এখন কেবল একটি বাকি আছে—শুনেছি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। কিন্তু আমি সেটাও খুব দ্রুত মিটিয়ে ফেলব। আমি দুজনকেই চিনি—ফিল্ড মার্শাল ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই দুর্দান্ত মানুষ। আমি নিশ্চিত, খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টা সমাধান হবে।’
তিনি আরও বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠা তার সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। ‘যদি আমি সময় নিয়ে লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে পারি, সেটিই সবচেয়ে বড় অর্জন,’ ট্রাম্প বলেন। ‘অন্য অনেক প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ শুরু করেন, আমি তার উল্টোটা করেছি—যুদ্ধের ইতি টেনেছি।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তার প্রশাসন আট মাসে আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছে।
সম্প্রতি পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অক্টোবরের শুরুতে সংঘর্ষে দুই পক্ষের ডজনখানেক মানুষ নিহত হয়, যা ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হিসেবে বিবেচিত।
ইসলামাবাদ দাবি করে আসছে, সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে এবং তারা আফগান ভূখণ্ডে নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছে। এ নিয়ে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর দুই দেশ সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা আপাতত বহাল আছে।
ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আলোচনার দ্বিতীয় পর্বে পাকিস্তান আফগান তালেবান সরকারের কাছে সন্ত্রাসবিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে রোববার থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার নেতারা ট্রাম্পের উপস্থিতিতে উন্নত সংস্করণের এক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেন। দুই দেশের সীমান্তে চলমান রকেট ও গোলাবর্ষণের সংঘর্ষ থামাতে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়। এ কারণেই তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
চুক্তিটি তিন মাস আগে স্বাক্ষরিত এক অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। সেই সময়ে ট্রাম্প দুই দেশের তৎকালীন নেতাদের ফোন করে সতর্ক করেছিলেন—যদি তারা শত্রুতা না থামায়, তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করে দেওয়া হবে।
থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার সীমান্তে পাঁচ দিনের সংঘাতে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়—যা দুই দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ বলে বিবেচিত।
নিউজ ডেস্ক : তুরস্কে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের ...
নিউজ ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভিসা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে সংযুক্ত আরব আম...
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চলতি মৌসুমে রেকর্ড পরিমাণ খেজুর উৎপাদন কর...

মন্তব্য (০)