• সমগ্র বাংলা

নবাবগঞ্জে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

  • সমগ্র বাংলা

ছবিঃ সংগৃহীত

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: শারদীয় দূর্গাপূজাতে মেয়ে জামাই বাড়িতে আসবে বলে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বাজারে যায় গৃহবধু সুচিত্রা সরকার। এর ঠিক ৫২ঘন্টা পর মঙ্গলবার দুপুরে লাশ পাওয়া যায় বাড়ির কাছে পুকুরে।  ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই দিনই গৃহবধুর স্বামী রামচন্দ্র মন্ডল নবাবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। নিখোঁজের দুদিন পর এ লাশ পেয়ে পরিবারের সন্দেহ তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে।
মাকে হারিয় একমাত্র মেয়ে শ্রাবন্তী সরকার বাড়ির উঠানে অঝড়ে কান্না করছে। স্বজনরা তাঁকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করলে পুরো মহল্লা জুড়েই যেন শোকে মাতম। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা শ্রাবন্তীর চোখ যেন আজকে দূগাপূজার অষ্টমীতে শুধু মাকেই খুঁজছে। একমাত্র ছেলে প্রবাসে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সুচিত্রার বাড়ির পাশে দুর্গা মন্দির সংলগ্ন পুকুরে তাঁর লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এসময় সুচিত্রার স্বজনরা লাশটি সনাক্ত করে। বাড়ি থেকে পূর্বে প্রায় ২শত গজ দূরে কচুরিপানার মধ্যে পুকুরে লাশ ভেসে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের আশপাশের নারী পুরুষ এবং পাশেই দুটি দূর্গা মন্দিরে আসা দর্শনার্থী ওই বাড়িতে ভীড় জমায়। তারা প্রত্যেকেই এ হত্যার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নিহতের বোন শিখা মন্ডল বলেন, বোনের মৃত্যু খবরে এসে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বোনের কানে ও গলায় স্বর্ণের গহনা ছিলো। দুর্বৃত্তরা তাঁকে হত্যা করে সব নিয়ে গেছে। তিনি এ হত্যার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দিলীপ হালদার বলেন, ঘটনাস্থলের চারদিকে কোনো রাস্তা নেই। চারদিকেই বাঁশঝোপ থাকায় অপরাধীরা হয়তো সুচিত্রাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, লাশটি গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যার ধরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

মন্তব্য (০)





  • company_logo