• লিড নিউজ
  • জাতীয়

রাখাইনে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়: খলিলুর

  • Lead News
  • জাতীয়

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো হচ্ছে। ফলে এখনই সেখানে সত্যিকার রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আয়োজিত আলোচনায় খলিলুর রহমান এ মন্তব্য করেন।

‘বিশ্ব শরণার্থী ও রাজনৈতিক আশ্রয় ব্যবস্থা : কী ভুল হয়েছে এবং কীভাবে তা শোধরানো যায়’ শীর্ষক আলোচনার মূল আয়োজনে ছিলেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফার ল্যান্ডাউ। আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ, পানামা, লাইবেরিয়া ও কসোভোর প্রতিনিধিরা। এ ছাড়া অন্যান্য দেশ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং পরামর্শক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন।

শরণার্থী সনদ ও শরণার্থীরা যে আশ্রয় পেয়েছে, চিরকাল সে দেশে থাকতে পারে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের জনগণ ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হয়েছিল। যার কারণে এক কোটির মতো বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সৌভাগ্যবশত যুদ্ধ পরিস্থিতি বেশি দিন থাকেনি। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছিল। আর বাংলাদেশিরা সবাই দেশে ফেরত এসেছে।

রাখাইন নিয়ে সুখবর আছে উল্লে­খ করে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, রাখাইনের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ অঞ্চল আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। গত সপ্তাহে আরাকান আর্মি আমাকে ছবি পাঠিয়েছে। যেখানে দেখেছি যে, আরাকান আর্মি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে রাখাইনের শিবির থেকে ফেরত আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গা শিবির থেকে নিজ গ্রামে ফেরত এসেছে।’

তিনি আরও বলেন, রাখাইনে পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে ভালো হচ্ছে। স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ফলে এখনই সেখানে সত্যিকার রাজনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসেছে।

খলিলুর রহমান বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের একত্র হতে হবে। এ সংকট সমাধানে আমরা রাজনৈতিকভাবে বিনিয়োগ করব, এ নিয়ে আমাদের নিজেদের কাছে ও শরণার্থীদের কাছে অঙ্গীকার করতে হবে।’ তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অনেক দেশই এতে অংশ নেবে। রোহিঙ্গারা সংকট সমাধানের প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বাড়িতে ফিরতে চায়।

বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী তিন-চার বছর পরে আমরা শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের পেছনে আর কোনো অর্থ খরচ করতে চাই না। বরং এ অর্থের একটি অংশ মিয়ানমারে খরচ করতে চাই, যেখানে রোহিঙ্গারা নতুন জীবন শুরু করতে পারবে। যেখানে তারা তাদের ভবিষ্যৎ ফিরে পাবে।’

 

মন্তব্য (০)





  • company_logo