• লিড নিউজ
  • অর্থনীতি

ব্যাংক একীভূতকরণ হলে আমানতকারীরা সবাই টাকা ফেরত পাবেন: গভর্নর

  • Lead News
  • অর্থনীতি

ছবিঃ সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ব্যাংক একীভূতকরণের আলোচনা চলমান প্রক্রিয়া। কবে নাগাদ কোন ব্যাংক কার সঙ্গে একীভূত হবে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তবে আমানতকারীদের আতঙ্কের কিছু নেই। সবাই টাকা ফেরত পাবেন। 

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ঘোষণা অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। 

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, একীভূতকরণের আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে এক্সিম বাদে অন্য চারটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের সাথে মঙ্গলবার আবার বৈঠক করেছেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ব্যাংকগুলো হলো– ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, সোস্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী। একীভূতকরণ নিয়ে সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়ার আগে এক্সিম ব্যাংকের সাথে আলাদা বৈঠক হতে পারে বলে জানা গেছে। 

জানা গেছে, ব্যাংক একীভূতকরণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরুর ধাপ হিসেবে এ বৈঠক করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই সরকারকে চিঠি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।  কত টাকা দরকার হবে, শেয়ারের কি হবে – এসব বিষয় উল্লেখ করা হবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী অক্টোবরের মধ্যে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূতকরণ করতে চায়। গত জুনে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও এমডিকে নিয়ে এক বৈঠক থেকে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ বার্তা দেওয়া হয়। এরপর এক্সিম ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান বিভিন্ন ফোরামে একীভূতকরণ হতে না চাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে আসছেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় থাকা পাঁচটি ব্যাংকের মধ্যে তুলনামূল ভালো অবস্থানে রয়েছে এক্সিম। ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের কম খেলাপি। এক্সিম ব্যাংক একীভূত হতে না চাইলে নিয়ম মেনে সিআরআর এবং  এসএলআর সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করতে হবে। আবার বিশেষ ধার হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে তা ফেরত দিতে হবে।

পাঁচটি ব্যাংক একীভূতরণের লক্ষ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অডির্ট ফার্ম দিয়ে সম্পদ মূল্যায়ন করিয়েছে। এই মূল্যায়নে ইউনিয়ন ব্যাংকের ২৬ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা বা মোট ঋণের ৯৭ দশমিক ৮০ শতাংশ খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।  ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৫৮ হাজার ১৮২ কোটি টাকা বা ৯৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ খেলাপি। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ১৩ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা বা ৯৫ শতাংশ খেলাপি। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৩০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আর এক্সিম ব্যাংকের ২৫ হাজার ১০১ কোটি টাকা বা ৪৮ দধমিক ২০ শতাংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বড় অংকের ধার নিয়েও আমানতকারীর টাকা পরিশোধ করতে পারছে না। বিধিবদ্ধ হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সিআরআর ও  এসএলআর রাখতে পারছে না। প্রভিশন ও মূলধনে বড় অংকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

 

মন্তব্য (০)





image

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

নিউজ ডেস্ক : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্...

image

ফের বাড়ল উড়োজাহাজে ব্যবহৃত তেলের দাম

নিউজ ডেস্ক :  উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের (জেট ফুয়েল) দাম আবার...

image

আজকের স্বর্ণের দাম: ১৩ আগস্ট ২০২৫

নিউজ ডেস্ক : দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভরিতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ ট...

image

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হচ্ছে দুই জাহাজ, ব্যয় ৯৩৫ কোটি ৭১ ...

নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫৫-৬৬ হাজার ডিডব্লিউটি সম্পন্ন দুটি বাল্ক...

image

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক : বাজারে সরবরাহ বাড়াতে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে...

  • company_logo