• বিশেষ প্রতিবেদন

অসহনীয় যানজটে রংপুর

  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • ২৮ মার্চ, ২০২৩ ১০:৪৫:৪০

ছবিঃ সিএনআই

নজরুল ইসলাম রাজু, রংপুর ব্যুরোঃ অসহনীয় যানজট ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শহর রংপুর। অবৈধ অটো রিক্সার দাপটে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সিটি কর্পোরেশন থেকে দেয়া সাড়ে ৬হাজার অটো রিক্সার নিবন্ধন কার্ড।কিন্তু চলাচল করছে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার অটো রিক্সা।২০৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় চলছে এসব তিন চাকার ইজিবাইক। যার ফলে যানজট লেগেই থাকে এই নগরীতে। 

প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও বিভিন্ন ছোট ছোট রোড দিয়ে ঢুকে পড়ে শহরে অলিগুলিতে।এসব অটো রিকসার দাপটে অতিষ্ট নগরবাসি। এক
স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতেই সময় লাগছে ১ঘন্টা থেকে ২ঘন্টা যার ফলে যথা সময়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে যাত্রী ও চাকরিজীবীদের।

অটো চালক স্বাধীন মিয়ার দাবি লাইসেন্স নিয়েও শহরের ভেতরে প্রবেশ করতে জটিলতা ও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নেই তারা টাকার বিনিময় এসব শহরে ঢুকছে। এমনিতেই ভাড়া কম অন্যদিকে অবৈধ অটোর দাপটে বৈধ অটো রিক্সার চালকরা জিম্মি তাদের কাছে।

অটো চালক শফিকুল আলম জানান ঈদের সময় শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না পুলিশ।আবার যদিও প্রবেশ করা হয় তাও আবার যান জোটে ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়তে হয।রাস্তায় সময় লেগে গেলে যাত্রীদের গালিগালাজ শুনতে হয়।অন্যদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি আর দুর্ভোগে যানজটের পড়তে হচ্ছে।

অটো যাত্রী ফারুক হোসেন জানান শাপলা থেকে জাহাজ কোম্পানি আসতে সময় লেগে গেছে এক ঘন্টা। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করলেও অটো রিকসা বেশি হওয়ায় যানজটে সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে  যাত্রী হয়রানি আর ভোগান্তির শেষ নেই।

রংপুর মেডিকেল থেকে আসা অটো রিক্সার যাত্রী স্বামীমা ইয়াসমিন জানান রোগী নিয়ে মেডিকেলে যেতে সময় লেগেছে প্রায় ২ ঘন্টা চার মাথা থেকে মেডিকেল মোড় যেতে সময় লাগে ৩০ মিনিট সেখানে দুই ঘন্টা লেগে যায়। শুধু যানজটের ফলে এ দুভোর্গ।নিরশনের উদ্যোগ নেই সিটি কর্পোরেশন কিংবা প্রশাসনের।রমজান ঈদকে সামনে রেথে নগরীতে প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। প্রধান সড়ক ছাপিয়ে যানজট এখন অলি গলির সড়কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।

দুঃসহ যানজট নিরসনে সিটি করর্পোরেশনের ট্রাফিক বিভাগ তেমন কোন ভূমিকা রাখছে না। যানজটের ফলে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। যানজটে পথচারীসহ রোজাদারদের জন্য সৃষ্টি করছে বাড়তি ভোগান্তি। শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে সংযোগ সড়কগুলোতে সকাল থেকে অটোর যানজট বাড়ছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক)ডিসি মো:মেনহাজুল আলম জানান,সুপার মার্কেট, মিনি মার্কেট, সিটি বাজার ও বিভিন্ন শপিং মলগুলোর সামনে অবৈধ পার্কিংসহ ব্যাটারিচালিত অটো-রিক্সার দৌরাত্ম নগরীতে নতুন করে উপদ্রব সৃষ্টি করছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।তবে সিটি করপোরেশন অবৈধ অটোরিকসার উপর অভিযান করার জন্য চিঠি দিয়েছে পুলিশকে।তবে ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে অবৈধ যাদের কাজ
নেই সেই সব যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। 


সাধারন মানুষ বলছেন,রংপুর শহরের রাস্তাগুলো এখন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও চার্জার রিকশার দখলে। অটোরিকশা চলাচলে নিয়ন্ত্রণ না থাকা ও অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচল করায় শহরে প্রতিদিন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

শহরের সিটি বাজারের সামনে থেকে সুপারমার্কেটের মোড় হয়ে পায়রা চত্বর ও জাহাজ কোম্পানির মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই থেকে তিন কিলোমিটার সড়কের আশপাশে বিপণিবিতান,বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস অবস্থিত। অটোরিকশার কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন যানজটের কবলে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

আবার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীর আশায় অটোরিকশাগুলোকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে মুহূর্তেই অটো ও চার্জার রিকশার দীর্ঘ সারি হয়ে যায়। এই দীর্ঘ সারির কারণে পথচারীদের সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যাওয়াও বেশ কষ্টকর। শহরের জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকায় চারদিক থেকে চারটি সড়ক এসে মিলেছে। এ মোড়ের চারদিকেই বিপণিবিতান।সড়কের মধ্যে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দেখা যায়। এই মোড়ের পাশে শহরের প্রধান ব্যবসায়ীকেন্দ্র হাঁড়িপট্টি, লোহাপট্টি ও বেতপট্টি। এই এলাকার ছোট সংযোগ সড়কগুলোয় কেনাকাটা করতে এসে দীর্ঘ সময় মানুষকে যানজটে আটকে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

রংপুর সিটি করর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, রংপুর শহর এলাকায় যানজটমুক্ত রাখতে অনেকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে যানজট নিরসনে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দ্ধেসঢ়;ওয়া হয়েছে।এই রমজান মাসে শহরকে পরিস্কার রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।কিছু নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন ও অটো চলাচল করার কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।যানজটের কারণে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।অতিদ্রুত অট্রোরিকসার যাতে শহরে প্রবেশ করতে না পারে এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo