• শিক্ষা
  • লিড নিউজ

গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবির ২১ বছর! প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি

  • শিক্ষা
  • লিড নিউজ
  • ০৮ জুলাই, ২০২২ ১৯:৪৩:৫৯

ছবিঃ সিএনআই

মেজবা রহমান,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পেরিয়ে বাইশ বছরে পা দিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)। 

২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক এ দিনটিই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আইন পাসের পর ২০০১ সালের ১৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ১৯ জুলাই প্রথম ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান প্রফেসর ড. এম খায়রুল আলম খান।

এরপর সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে এবং ভিসি প্রফেসর ড. এম খায়রুল আলম খানের নিয়োগ বাতিল করে তাকে পূর্বের প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দেয়

এরপর প্রায় আট বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে প্রকল্পটি পুনরুজ্জীবীত করে এবং ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ আইন-২০০১ বাস্তবায়নের জন্য এসআরও জারি করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান প্রফেসর ড. এম. খায়রুল আলম খানকে পুনরায় ৪ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৫টি বিভাগে ১৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। শিক্ষার্থী সংখ্যার দিক থেকে বর্তমানে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়।

বর্তমানে ৭টি অনুষদ এবং ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি একসময় দেশসেরা বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠবে।

এদিকে পবিত্র  এদিকে ঈদুল আজহার  ছুটি চলমান  থাকায় বর্তমানে  বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আগামী ২৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইমুন হাসান রাব্বী বলেন, বশেমুরবিপ্রবি মানে এক আবেগের স্থান। গোপালগঞ্জের স্থানীয় হওয়ায় বিশ্বিবদ্যালয়ের অনেক উত্থান-পতন দেখেছি। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলে আবার ক্ষমতায় আসলো আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তখন আবারও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার স্বপ্ন মাথা চারা দিয়ে উঠলো। সব জটিলতাকে পাশ কাটিয়ে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে চলতে শুরু করে।

পরিসংখ্যান  বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নিপা খানম  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে জোর দেন। তার মতে, দেখতে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়টি ২১ বছর পাড়ি দিলেও উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মূল লক্ষ্য হোক, দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণার মান বৃদ্ধি করা।  

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা ড. শরাফত আলী বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, দারিদ্র্য বিমোচন,  গণতন্ত্র ও আাইন প্রতিষ্ঠা ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বশেমুরবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

এদিকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ভিসি অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে শিক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা। যাতে শিক্ষার্থীদের জনশক্তিতে পরিণত করে, বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গবেষণা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

মন্তব্য ( ০)





  • company_logo